নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র এক টাকাতেই মিলছে সুস্বাদু বিরিয়ানি (BIRIYANI)। রয়েছে মাছ-ভাত, ডিম-ভাত, এমনকি নিরামিষ মেনুও। দাম মাত্র ১ টাকাই। যেদিন যা মেনু, তা মিলবে মাত্র এক টাকার বিনিময়েই। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই তাই। নামমাত্র টাকায় মিলছে এমন সুস্বাদু খাবার।
গত সাত মাস ধরে এমনটাই চেনা ছবি বারাসতে। মানুষের জন্য বারাসাত হাসপাতালের বাইরে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এভাবেই পরিষেবা দিয়ে চলেছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আগে সপ্তাহে সাতদিন এই ক্যান্টিন চালু থাকলেও, এখন রবিবারে বন্ধ রাখা হয় এই পরিষেবা।
জানা গিয়েছে, এক টাকার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বারাসত হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের জন্য। কিন্তু বারাসত হাসপাতালের ভেতরে এই ক্যান্টিন চালানোর অনুমতি না পাওয়ার জন্য, রাস্তার পাশেই ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে এই ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। বর্তমানে সকল সাধারণ মানুষই এই খাবার নিচ্ছেন। দুপুর ১২ টা থেকে ২টো পর্যন্ত ‘এক টাকায় পেটভরে খাওয়া’ পরিষেবা চালু থাকলেও, ভ্রাম্যমান কাউন্টার চালু হওয়ার মাত্র আধঘন্টার মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে ২০০ থেকে ২৫০ জনের খাবার ব্যবস্থা করা হলেও, ভবিষ্যতে এই সংখ্যাটা ১০০০ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের চেয়ারম্যান মিঠু চৌধুরী। জানা গিয়েছে, এক এক দিন এক এক ধরনের খাবার থাকে আমিষ ও নিরামিষ মিলিয়ে। আর মাসে একদিন থাকে বিরিয়ানি।
এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে মিঠু চৌধুরী বলেন, অনেক দূর থেকে রোগীরা আসেন চিকিৎসা করাতে। তাঁদের সঙ্গে থাকেন তাঁদের পরিবার পরিজন। সকলের তেমন সামর্থ্য নেই তাই চিকিৎসা করাতে এসে দিনের পর দিন না খেয়েই বা সামান্য খেয়েই কাটাতে হয় অনেককে। তাঁদের কথা ভেবেই এই পরিকল্পনা। কোনও মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে তার জন্যই এই ব্যবস্থা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, খাবারের গুণমান বেশ ভালো। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ভাত চাইলেও তা মেলে বিনামূল্যে। তাই এক টাকার পেট ভর্তি খাবার অথবা বিরিয়ানির স্বাদ নিতে যে কেউ চলে আসতে পারেন বারাসাত হাসপাতালের সামনে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই উদ্যোগ নেওয়ায় তাতে যে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ, তা ভ্রাম্যমান এই কাউন্টারের সামনে দাঁড়ালেই বোঝা যায়।