এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

এমন লোকও আছে তৃণমূলে, তাজ্জব বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়(PAY) যারা ঘর পাবেন তাঁদের নামের তালিকা চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। অথচ সেই তালিকা নিয়ে এখন বাংলার গ্রামে গ্রামে নিত্যদিন অশান্তি লেগে রয়েছে। গণবিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বিডিও থেকে বিধায়কদের। সব থেকে বেশি বিক্ষোভ অশান্তির মুখে পড়ছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা। কেননা দেখা যাচ্ছে যাদের নাম এউ তালিকায় উঠেছে তাঁদের হয় আগে থেকেই পাকা বাড়ি আছে নাহয় তাঁরা কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া ১৫ দফা শর্তের মধ্যে পড়েন না। বিক্ষোভকারীদের সিংহভাগ ক্ষেত্রে দাবি, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেক তৃণমূল(TMC) নেতা-নেত্রী বা তাঁদের পরিজনের নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। কোথাও কোথাও বেছে বেছে শুধুমাত্র তৃণমূল সমর্থকদেরই সেই বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। কার্যত এই বাংলা জুড়ে এই বিক্ষোভের মুখে যখন বাংলার শাসক দল ঠিক তখনই তৃণমূলেরই এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্যত নজীর গড়লেন আবাস যোজনার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়ে। যা দেখে স্তম্ভিত কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির(BJP) নেতা থেকে কর্মীরাও।

আরও পড়ুন ২৪’এ ২৪ দূর অস্ত, ৪টেও আসবে কিনা সন্দেহ

কে এই পঞ্চায়েত প্রধান? নাম তাঁর চাঁদু সিংহ(Chnadu Singha)। নিবাস পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ সদর মহকুমার রায়না-১ ব্লকের নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতে। পেশা তাঁর দিন মুজুরি। তাঁর পাকা বাড়ি নেই। যে বাড়িতে থাকেন তার ছাদ অ্যাসবেস্টসের। দীর্ঘদিন ধরে তা থাকায় এখন তাতে যেমন ফাটল ধরে গিয়েছে তেমনি জায়গায় জায়গায় ভেঙেও গিয়েছে। তাই অ্যাসবেস্টসের ওপর দিতে হয়েছে ত্রিপল। কিন্তু ভারী বৃষ্টি হলেই সেই ত্রিপল চুঁইয়ে জল পড়ে ঘরের ভিতরে। এই অবস্থায় তিনি নিজেই তাঁর নাম বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা থেকে। কিন্তু চাঁদু কেন বাদ দিয়েছেন নিজের নাম? পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, ‘আমার তো তবু মাথা গোঁজার ঠাঁই রয়েছে, অনেকের তো সেটাও নেই। আবার অনেকের নাম বাদ পড়েছে। সেখানে এক জন জনপ্রতিনিধি হয়ে কী ভাবে সরকারি অনুদানে বাড়ি নেব?’ এদের খোঁজ কী রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)? সম্ভবত না, রাখলে নিজেই গিয়ে দেখ করে আসতেন তাঁর সঙ্গে। তুলে ধরতেন তাঁকে দলের সম্পদ হিসাবে। চতুর্দিকে যখন তৃণমূলের নেতা থেকে কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তখন এই চাঁদুই কিন্তু হতে পারতেন সততার নয়া প্রতীক।

আরও পড়ুন বাংলাকে মোদির নয়া উপহার, মডেল রেশন দোকান

সূত্রে জানা গিয়েছে, নাড়ুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে ২,৯০০ জনের নাম এসেছিল আবাস যোজনার তালিকায়। সমীক্ষার পরে ১,৪২৫ জন বাড়ি পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করা হয়েছে। সেই তালিকাতে নাম ছিল চাঁদুর। নাম ছিল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইসমাইল শেখের বাবারও। কিন্তু ঘটনাচক্রে ইসমাইলের পাকা বাড়ি রয়েছে। তার পরেও তাঁর বাবা ও শ্বশুরের নাম আবাস যোজনার তালিকায় ছিল। কয়েক দিন আগে তিনি প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে তালিকা থেকে বাবার নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেন ইসমেইল। তাঁর শ্বশুরও জানিয়ে দেন, তিনি বাড়ি চান না। চাঁদুর বাড়ির প্রয়োজন। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে তিনিই তাঁর নাম কাটিয়ে দিয়েছেন তালিকা থেকে। সেই ঘটনাকে স্যালুট জানাচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের একটা দায়িত্ব থাকে। চাঁদুবাবু সে দায়িত্ব পালনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শকেও কর্তব্য মনে করেছেন। আমরা গর্বিত তাঁর জন্য।’ চাঁদুর এহেন কীর্তিতে তাজ্জব বিজেপিও। তাঁদের এখন একটাই কথা মুখে, ‘এমন লোকও আছে তৃণমূলে!’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিষ্ণুপুর শিল্পতালুকে বন্ধ কারখানা কিনে তা চালু করছে টাটারা

ডাউন ব্যান্ডেল লোকালে আগুন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ঘটনাস্থলে ৩ টি ইঞ্জিন

নির্বাচনী জনসভায় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

রবিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর