নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: বড় দিন আসন্ন, আর বড় দিন মানেই কেক। শীতের এই উৎসবের মাঝে মাত্র একটা দিন রয়েছে। এরমধ্যেই দোকানে দোকানে দেখা মিলছে হরেক রকমের কেক-পেস্ট্রি। তবে শুক্রবার থেকেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা মিলবে অস্থায়ী কেকের দোকান। ফলে দোকানে দোকানে কেক-পেস্ট্রি পৌঁছে দিতে দিন-রাত এক করে কাজ চলছে বেকারিগুলিতে। আর নদিয়ার রানাঘাট এবং শান্তিপুরের কেক তো বেশ বিখ্যাত। তাই এই এলাকার বেকারিগুলিতে নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন কারিগররা। ফলে কেকের গন্ধে ম ম করছে কেক তৈরির পাড়াগুলি।
দিনে দিনে ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বড় দিন জায়গা করে নিয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন গোটা বিশ্বেই পালিত হয় বেশ ধুমধামের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গেও বড় দিন বিশেষভাবে পালিত হয়ে থাকে। এই দিন বাঙালির পাতে কেক মাস্ট। সেটা সাধারণ বাড়িতে থাকলেও বা পিকনিক করলেও। ফলে এই দিনের জন্য রাজ্যজুড়ে কেকের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায় এক ধাক্কায়। আর তাই বেকারিগুলিতে বড়দিনের কয়েকদিন আগে থেকেই দেখা যায় চরম ব্যস্ততা। নদিয়ার রানাঘাটের বোগোপাড়া এবং শান্তিপুরের কয়েকটি এলাকায় বেকারিগুলিতে তো সেই ব্যস্ততা দেখার মতো।
রানাঘাট হোক বা শান্তিপুর, বেকারি মালিকদের দাবি, এবার কেকের কাঁচামালের দাম অনেকটাই বেশি। যেমন মাখন, কাজু, কিসমিস, ময়দা এবং মোরব্বা বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এবার কেকের দাম কিছুটা বেড়েছে। যদিও তা সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই রয়েছে বলে দাবি বেকারিগুলির। কারণ করোনা ধাক্কা কাটিয়ে বাঙালি ফের উৎসবের মেজাজে ফিরেছে। তাই কেকের চাহিদা রয়েছে। ফলে লাভের অঙ্ক কিছুটা কমিয়ে কেক সাপ্লাই করছেন কেক ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে বেশি বিক্রি হলে লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলেই মনে করছেন রানাঘাট-শান্তিপুরের বেকারি ব্যবসায়ীরা।