নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের ৪টি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘রেল রোকো’(Kurmi Rail Roko Movement) কর্মসূচি শুরু করতে চলেছিল কুড়মি সমাজ। আর তার জেরে জঙ্গলমহলের ৪টি জেলায় আগামিকাল থেকে কার্যত রেল পরিষেবা চূড়ান্ত ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে চলেছিল। ওই একই কর্মসূচী পালিত হতো ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বুকেও। যার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেল পরিষেবা সব থেকে বেশি ব্যাহত হতে পারত। সেই ঘটনার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। ওই মামলাটি এদিন কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। শুনানি শেষে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই রেল রোকো কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেআইনি। রাজ্য সরকারকে এই কর্মসূচি ঠেকাতে পদক্ষেপ করতেই হবে। প্রয়োজনে তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) সাহায্য চাইতে পারে। এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও পুলিশ(Police) বাহিনী চাইতে পারে। আর তার পরে পরেই এই কর্মসূচী আপাতত স্থগিত করার কথা জানিয়ে দেয় কুড়মি সমাজ।
আগামিকাল থেকে কুড়মিদের তরফ থেকে রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর সেই আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে ২৪ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৪ জোড়া ট্রেনকে ঘুরপথে অন্য রুট দিয়ে চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এই রাজ্যের কস্তুর এবং খেমাসুলি, ওড়িশায় জরাইকেল্লা এবং ঝাড়খন্ডে মুড়ি, গালুডি, চান্দ্রিল, মনোহরপুর এবং নিমডিম স্টেশনে রেল অবরোধ হবে বলে জানিয়েছিল কুড়মি সমাজের নেতারা। এর ফলে আগে থেকেই ওইসব স্টেশনে আরপিএফ এবং রেল পুলিশ মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনটি রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি এবং ডিজিকে রেলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ না করেন তা দেখতে। এই অবস্থায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের জেরে সেই কর্মসূচী স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনের মুখ অজিত মাহাতো।