নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘটনার পর থেকেই ফেরার ৩ অভিযুক্ত। রোহন শেখ, মারফত শেখ এবং খুশিল শেখ। অনেক খুঁজেও তাঁদের সন্ধান মেলেনি। তাঁদের না ধরতে পেরেছে পুলিশ না ধরতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। শেষে জারি করতে হল হুলিয়া। রাজ্যের সাড়া জাগানো বকটুই গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩জন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য এবার হুলিয়া জারি(Hulia Issued) করে গ্রামে নোটিশ সাঁটাল CBI। এই ৩জনের মধ্যে প্রথমজন রোহন শেখ, আবার বকটুইকাণ্ডের(Boktui Massacre) অন্যতম অভিযুক্ত ও সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত লালন শেখের(Lalan Sheikh) ছেলে। দ্বিতীয় মারফত শেখ নিহত ভাদু শেখের(Bhadu Sheikh) বাবা। CBI’র দেওয়া হুলিয়া নোটিশে এই ৩জনকেই আগামী ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এসিজেএম-এর এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁরা হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে।
২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূমের(Birbhum) রামপুরহাটের(Rampurhat) বকটুই মোড়ে বোমা ও গুলির আঘাতে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তারপর সেই রাতে অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা বকটুই গ্রাম। অগ্নিসংযোগ করে শিশু ও নারী সহ ১০ জনকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে CBI। গণহত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে রোহন শেখ, মারফত শেখ ও খুশিল শেখের নামও উঠে আসে। এবার সেই তিন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করে বগটুই গ্রামে নোটিশ সাঁটাল CBI।
বকটুই গণহত্যাকাণ্ডের পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ ওরফে ছোট লালন। শোনা যায় ভাদু শেখের ডান হাত ছিলেন এই লালন শেখ। ভাদুকে খুনের পর যে অগ্নিকাণ্ডে পুড়িয়ে মারার যে ঘটনা ঘটেছিল, তার নেতৃত্বে লালনই ছিল বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পর ২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে গ্রেফতার করা হয় লালনকে। যদিও CBI হেফাজতে থাকাকালীনই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল লালন শেখের। এবার লালনের ছেলের নামে জারি হল হুলিয়া।