এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাঁকুড়ায় বিজেপি কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজ জেলায়, নিজের শহরে, নিজেরই দলের কর্মীদের মুখে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে গেলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী(Union Minister of State for Education) সুভাষ সরকার(Subhash Sarkar)। কার্যত বঙ্গ বিজেপির ইতিহাসে এর আগে কোনওদিন এই ছবি দেখা যায়নি। কার্যত নজীরবিহীন বললেও কম বলা যায়। শুধু বিক্ষোভ তাই নয়, তাঁকে রীতিমত ‘Go Back’ ও ‘দূর হটো’ শ্লোগানের মুখে পড়তে হয়। কার্যত মারমুখী বিজেপি কর্মীরা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে একটি ঘরে তালাবন্দী করে আটকে রাখে। সেই অবস্থায় জেলা বিজেপির সভাপতি দলের কার্যালয়ে এলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মারমুখী বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি মারামারি বেঁধে যায় জেলা সভাপতি অনুগামীদের। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়া(Bankura) শহরে বিজেপির(BJP) জেলা কার্যালয়ে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, জেলায় দলের অন্দরে কার্যত একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারকে ঘিরে জেলা বিজেপি কর্মীদের একটা বড় অংশের মধ্যেই বিক্ষোভ দানা বাঁধছিল। এদিন সেই বিক্ষোভের বাঁধ ভেঙেছে বলেই অনেকে মনে করছেন। এর আগে বাংলার মাটিতে বিজেপিরই কর্মীদের হাতে এভাবে তালাবন্দী হননি। মারমুখী বিক্ষোভের মধ্যেও পড়েননি। সুভাষ সরকার এলাকায় একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন, এই অভিযোগ একাধিকবার জমা পড়েছে বঙ্গ বিজেপির কার্যালয়ে। এমনকি দিল্লিতেও এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে দলের সংগঠন বাড়াতেও সেভাবে সময় দেননা সেটাও জানানো হয়েছে। আর তার জেরে কার্যত দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন যে ২৪’র যুদ্ধে আর সুভাষকে টিকিট দেওয়া হবে না। কেননা তাঁর বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তাতে টিকিট দিলেও তিনি জিততে পারবেন না। এই অবস্থায় এদিন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সাফ জানিয়েছেন, সুভাষ দলের জেলা সংগঠনে কার্যত একনায়কতন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাঁকে এই কাজে মদত করছেন দলেরই জেলা সভাপতি।

বাঁকুড়ার মাটিতে বিজেপির এই অশান্তি নিয়ে টিপ্পনি কাটতে ছাড়েনি তৃণমূল(TMC)। দলের নেতা ও মুখপাত্র তাপস রায় এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘কদিন আগে কোচবিহারের নিশীথ প্রামানিকের গাড়ির ওপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুভাষ সরকারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর ওপর হামলার ঘটনারও এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’ তবে এদিনের ঘটনায় সব থেকে বড় প্রশ্ন হিসাবে উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা। কেননা সুভাষ সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আধা সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা পান। সেই আধা সেনার জওয়ানদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে কীভাবে পার্টি অফিসের ঘরে আটকে তালা বন্ধ করে দেওয়া হল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন বিজেপি কর্মীদের থামাতে পারলেন না? তবে এই ঘটনা কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, বাংলার মাটিতে বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৭ দিনের মধ্যে মুখোশ খুলব, টুইট করে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

‘মায়ের ঝাণ্ডার কি দাম! যে কড়াইয়ে রান্না করেন, তা মাথায় মারলে বুঝবি’

‘চলুন বদলাই, চলুন পাল্টাই’, মালদায় মমতার মুখে পরিবর্তনের ডাক

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

প্রচারে বেরিয়ে অন্য ভুমিকায় দেখা গেল বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থীকে  

‘INDIA জোটকে সঙ্গে নিয়ে মোদিকে তাড়াবোই, বিজেপিকে উৎখাত করবোই’, হুঙ্কার মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর