নিজস্ব প্রতিনিধি,চাঁচল:পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে রক্তারক্তি কাণ্ড।নির্বাচন কক্ষের মধ্যেই তৃণমূল প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ। জখম হয়েছে ছয়জন তৃণমূল প্রার্থী। এছাড়া একজন নির্দল প্রার্থী আহত হয়েছেন । শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে মালদার(Malda) চাঁচল এর মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে(Mahanandapur Gram Panchayet)।এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ২১ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৮টি, কংগ্রেস ১০ টি,বিজেপি,সিপিএম এবং নির্দল একটি করে আসনে জয়লাভ করে।আজ ছিল প্রধান নির্বাচনের দিন।
বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।সেই সময় তৃণমূল প্রার্থীদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। জখম হয়েছেন ৬ তৃণমূল প্রার্থী এবং এক নির্দল প্রার্থী। এরপর ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। আহত ও রক্তাক্ত তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে কি করে পঞ্চায়েতের মধ্যে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী ও কর্মীরা প্রবেশ করল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের(Gaighata Block) শিমুলপুর পঞ্চায়েতে(Simulpur Panchayet) ওপেন ব্যালটে ভোট হওয়ায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করল না বিজেপি। পঞ্চায়েত ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বিজেপির সদস্যরা।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন ব্যালটে তারা প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের দাবি কে মান্যতা না দিয়ে ওপেন ব্যালটে ভোট করান পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার। ফলে তারা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ না করে পঞ্চায়েত ছেড়ে বেরিয়ে আসে। জানা গিয়েছে গাইঘাটা ব্লকের শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬ টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল , ১৪ টি তে জয়লাভ করেছিল বিজেপি।