এই মুহূর্তে




চন্দননগরে ৬৯ টি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় আলোর খেলা দেখাল




নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দননগর: সোমবার নিয়ম মেনে শৃঙ্খলা অনুযায়ী চন্দননগরে নিরঞ্জন পর্ব সম্পন্ন হল। দুপুর থেকেই চন্দননগর পুরসভার উদ্যোগে গঙ্গার ঘাট গুলিতে ছিল সুষ্ঠুভাবে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জন এর ব্যবস্থা। রাতে চোখ ধাঁধানো শোভাযাত্রা নিয়ে ৬৯ টি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি চন্দননগর শহরে নিরঞ্জন পর্বে অংশগ্রহণ করে। গঙ্গার ঘাট গুলিতে পুরসভা ও প্রশাসনের ছিল কড়া নজরদারি। প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছিল  জগদ্ধাত্রী পুজোর নিরঞ্জন পর্ব শোভাযাত্রা দেখতে।এবছর চন্দননগর থানা(Chandannagar P.S.) এলাকায় ১৩৩ টি ও ভদ্রেশ্বর থানা এলাকায় ৪৪ টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। পুরসভার হিসাব অনুযায়ী চন্দননগর কর্পোরেশন এলাকায় ১৪২ টি, ভদ্রেশ্বর পুরসভা(Bhadeswar Municipality) এলাকায় ২৪ টি ও চাঁপদানি পৌরসভা এলাকায় ১১ টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়।

এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোয় মোট ৬৯ টি পূজো কমিটি সোমবার দশমী তিথিতে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। ২৪৫ টি ট্রাকে সুসজ্জিত আলোকসজ্জা শোলা যাত্রায় শোভা পায়। সোমবার সন্ধ্যে ছটা থেকে এই বিসর্জনের শোভাযাত্রা শুরু হয়। এ বছর ৮ টি পুজো কমিটি তাদের জুবলি বর্ষ পালন করে। এ বছর শোভাযাত্রার জন্য ২০টি জোন তৈরি করা হয়। শোভাযাত্রা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে বিসর্জনের দিন ৪৭৪ জন কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্য স্বেচ্ছাসেবক সিকিউরিটি গার্ড ব্যাচ করে রাস্তায় নামে। এ বছর চাঁপদানি এলাকায় জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri)ঠাকুরকে গঙ্গা বক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেল লাইনের যে অংশ দিয়ে মালগাড়ি চলাচল করে রেলের পক্ষ থেকে বিসর্জনের দিন সোমবার দুপুর থেকেই সেই অংশে বৈদ্যুতিক সংযোগ রেল দপ্তর বিচ্ছিন্ন রাখে।

চন্দননগর(Chandannagar) কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি  শোভাযাত্রা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে।প্রত্যেক বছরের মতন এই বছরেও চন্দননগরে মোট ১৭৭ টি পূজো কমিটি অংশগ্রহণ করে এই চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজার কমিটির মধ্যে ।তার মধ্যে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে মোট ৬৯ টি বারোয়ারি এবং ২৪৫ টি ট্রাক সহকারে। এই বছর চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা হয়েছে, চন্দননগর পৌরনিগম এবং চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগধাত্রী পূজার উদ্যোগে। মোট কুড়িটি জোনে ভাগ করা হয়েছে পূজা কমিটি গুলিকে। বিভিন্ন প্যান্ডেলে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠীর দিন থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। অপরদিকে চন্দননগর দৈবক পাড়া এবছর ও নতুন চমক দিয়েছে ।তাদের এ বছরে থিম আঁচল । প্রতিটি পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের মন্ডপে প্রবেশ এবং বাহির পথে ক্লোজ সার্টিফিকেট ক্যামেরা বেশি করে লাগানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মণ্ডপে প্রবেশ এবং বাহির পথ পৃথক পৃথক করার নির্দেশ ছিল।

জগদ্ধাত্রী প্রতিমার অলংকার তার নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেকটি কমিটিকে প্রাইভেট সিকিউরিটি মোতায়েন করা হয়। সব পুজো কমিটি প্রশাসনের সেই নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।যে সকল পুজো কমিটি গুলি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে নি তাদের ১১ সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ছটার আগে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো সোমবার দুপুর থেকেই সন্ধ্যের মধ্যে ছোট পুজো গুলি তাদের প্রতিমা নিরঞ্জন করে। কারণ সন্ধ্যে ছ’টা থেকে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ৬৯ টি পুজো তাদের শোভাযাত্রা নিয়ে গঙ্গা-বক্ষের দিকে এগোতে শুরু করে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

করিধ্যা পঞ্চায়েতের উপ সমিতির সদস্যপদ গেল তৃণমূলের দখলে

সুন্দরবনে পানীয় জল অপচয় বন্ধ করতে আসরে নামলেন বিডিও

ধর্মঘট শুরু হতেই হু হু করে  বাড়ল আলুর দাম, মাথায় হাত আমজনতার

আবাসিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

 শীতের মরশুমের শুরুতেই সুন্দরবনের গাইডদের বিক্ষোভ, চিন্তায় পর্যটকেরা  

প্রত্যাখ্যানের প্রতিশোধ ! প্রাক্তন প্রেমিকা ও স্বামীকে এলোপাথাড়ি কোপ যুবকের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর