নিজস্ব প্রতিনিধি: ফুরফুরা (FURFURA) শরীফকে নোটিশ তলব করেছে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এই নোটিশ বলে জানা গিয়েছে। বড়দের বিক্ষোভ মিছিলে ছোটরা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ছোটরাও সমান তালে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমনই বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা দেখেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন।
জানা গিয়েছে, বড়দের বিক্ষোভ মিছিলে ছোটদের দেখেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা জনাব মহম্মদ সানাউল্লা সিদ্দিকীকে। জানতে চাওয়া হয়েছে এর ব্যাখ্যা। কারণ ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক মিছিলে শিশুদের আনা অপরাধ।এই বিষয়ে কমিশন জেলার পুলিশ সুপারদের অবগত করেছে। বলা হয়েছে, এই ধরণের পরিস্থিতি দেখলেই তার তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নিতে। বলা হয়েছে, এই বিষয়ে জেলায় জেলায় সচেতনতা গড়ে তোলার কথাও। হাওড়া জেলাশাসক, হাওড়া কমিশনারেট, হাওড়া গ্রামীণ, উত্তর ২৪ পরগণার জেলাশাসক এবং বারাসতের পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে কমিশন।
দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় বড়দের সঙ্গে বিক্ষোভ, অবরোধ, ইট ছোঁড়া, অগ্নিসংযোগে রয়েছে ছোটরাও। অথচ তা উচিৎ নয়। তা রুখতেই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। উল্লেখ্য,বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার পয়গম্বর বক্তব্যে ৩ দিন ধরে উত্তেজিত হাওড়া। প্রসঙ্গত, হিংসা বন্ধ করতে বলে বার্তা দিয়েছেন ফুরফুরা শরীফের অপর পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। তাঁর বার্তা, ধর্ম নিয়ে অনেকজনই বাজে কথা বলে কিন্তু তার প্রতিবাদে হিংসার রাজনীতি করলে নবী ক্ষমা করবেন না। আরও বলেন, হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। কারণ, নবীর প্রেম অন্য ধর্মকেও ভালবাসতে শেখায়। তিনি বলেন, নবীকে এই প্রথম নয়, এর আগেও এই ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে কিন্তু হিংসা দিয়ে আক্রমণ করে কখনও হিংসাকে জয় করা যায় না। হিংসা জয় করতে ভালবাসতে জানতে হয়। তবেই ধর্ম নিয়ে খারাপ মন্তব্যের সঠিক জবাব দেওয়া হবে। এর আগে হিংসা বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ভারত মানে হিন্দু- মুসলমানের মিলনক্ষেত্র। তা নিয়ে এতকাল গর্ব করা হয়েছে। সেই গর্বকে খর্ব করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কয়েকজন ‘চ্যাংড়া মানুষ’ হিংসা ছড়াচ্ছে, ভাঙচুর চালাচ্ছে, পুলিশকে আক্রমণ করছে, সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করছে। তাদের ধরে ধরে জেলে ঢোকানো উচিৎ। অপরাধীদের জেলে ঢোকাক প্রশাসন। পীরজাদার আরও দাবি, এই হিংসা- বিক্ষোভের পেছনে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সমর্থন আছে, তার ফলেই ৩ দিন ধরে এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি।