নিজস্ব প্রতিনিধি: জোড়াফুলে থাকার সময় ‘বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য’ নামে পরিচিত হয়েছিলেন তিনি। তারপর মুকুল রায় (MUKUL ROY) উড়ে গিয়েছিলেন পদ্মফুলে। ফের পদ্ম ছুঁড়ে বুকে নিয়েছিলেন জোড়াফুল। আবার দিল্লি গিয়ে লাফ দিলেন পদ্মপাতায়। তাঁর এই ‘ডিগবাজি’কে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। সাংবাদিক বৈঠকে সেই কথাই জানালেন তিনি।
মমতা বলেন, ওঁ বিজেপির বিধায়ক। দায়িত্ব বিজেপির ওপরেই বর্তায়। বলেন, কে কোথায় যাবে, বোম্বে না দিল্লি যাবে- সেটা তাঁর ব্যাপার। এরপরেই বলেন, মুকুল রায়ের ছেলে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন নিরুদ্দেশের। বলেছেন, দু’জন অপরিচিত লোক এসে তাঁকে নিয়ে গিয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করছে প্রশাসন। মানে, ‘অপহরণ’ তত্ব ছুঁয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু’র দাবি, ‘বিরাট টাকার খেলা’। ‘চাণক্য’ পুত্রের দাবি, বাবা অসুস্থ, মানসিক ভারসাম্যহীন। এই অবস্থায় দল পরিবর্তন করা সন্দেহের। প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বারবার ‘কেনা’ ও ‘অপহরণ’-এর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি বিরোধী দল ও বিভিন্ন রাজ্যের সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, তৃণমূল বিধায়ক কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ৪ বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজার হাজার দলীয় কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মমতা’র দাবি, বিজেপি বিরোধিতা করা হচ্ছে বলেই তৃণমূলের ওপরে আক্রমণ করা হচ্ছে।