নিজস্ব প্রতিনিধি: শনি সকালে পরীক্ষামূলক যাত্রা বা Trial Run শুরু করেছে হাওড়া পাটনা Vande Bharat Express। আর সেই যাত্রাতেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল ট্রেনটিকে। প্রশ্নের মুখে রেলমন্ত্রক। প্রশ্নের মুখে বিজেপির(BJP) বাঙালি বিদ্বেষ। আজ সকাল ৮টায় পাটনা(Patna)-হাওড়া রুটের বন্দে ভারত ট্রায়াল রান শুরু করছে। প্রায় ৫৩৫ কিমি পথ পেরিয়ে পড়শি রাজ্যের রাজধানী শহরের সঙ্গে হাওড়ার(Howrah) যোগাযোগ স্থাপন করবে ট্রেনটি। একপিঠ আসতে সময় লাগবে মোটামুটি ৭ ঘণ্টা। পূর্ব-মধ্য রেল সূত্রের খবর, এই ট্রেনের ‘বেস’ হতে চলেছে পাটনা। অর্থাৎ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বা হাওড়া-পুরীর মতো এই বন্দে ভারত হাওড়া ডিভিশনে থাকবে না। প্রতিদিন সেটি পাটনা থেকে হাওড়া এসে, আবার ফিরে যাবে। সাপ্তাহিক ও রাত্রিকালীন রক্ষণাবেক্ষণ চলবে বিহারের রাজধানী শহরে। পাটনা থেকে ছাড়ার পর হাওড়া আসবে ঝাঝা-আসানসোল হয়ে। এটিই হবে তার প্রস্তাবিত রুট। কিন্তু সেই ট্রেনের কোনও স্টপেজই দেওয়া হয়নি দুর্গাপুর(Durgapur) ও বর্ধমানে(Burdhwan)। অথচ ঝাড়খণ্ড ও বিহারের একাধিক স্টেশনে এই ট্রেনের স্টপেজ থাকছে।
আরও পড়ুন নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার হুমায়ুন কবীরের, যোগাযোগ বিজেপি’র সঙ্গে
পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য শনিবার সকালে এই নয়া Vande Bharat Express ট্রেনটি সকাল ৮টায় পটনা ছেড়েছে। হাওড়া ঢুকবে দুপুর আড়াইটে নাগাদ। আবার দুপুর ৩টে ৫৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে ছাড়বে এবং পটনা পৌঁছবে রাত ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ। পাটনা জংশন থেকে ছাড়া এই ট্রেনটির পথে স্টপেজ থাকছে পাটনা সাহিব, মোকামা, লক্ষ্মীসরাই, ঝাঝা, জসিডি ও আসানসোলে। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের একাধিক স্টেশনে ট্রেনটির স্টপেজ দেওয়া হলেও কেন তার স্টপেজ দেওয়া হল না বাংলার দুর্গাপুর ও বর্ধমান স্টেশনে। এই ট্রেন কী শুধুই বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মানুষদের কলকাতা আসা ও এখান থেকে ফিরে যাওয়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে? সেখানে তাই কী বাংলার স্টেশন উপেক্ষিত? এটা কী বিজেপির সেই বাঙালি বিদ্বেষের নমুনা?
আরও পড়ুন Laptop, Tablet, Computer আমদানির নিষেধাজ্ঞা স্থগিত
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ট্রেনটির পরীক্ষামূলক যাত্রা সফল হলে আগামী ১৫ই অগস্ট থেকেই এই ট্রেন যাত্রীদের জন্য চালু করা হতে পারে। কেননা নিয়মিত ট্রেন চালুর আগে যেসব পর্যায় থাকে সেগুলি পেরনোর কাজ চলছে। অধিক দ্রুতগতির এই এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর পরে পাটনা-কলকাতা যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে যাবে। প্রসঙ্গত, এটি বাংলার ক্ষেত্রে চতুর্থ হলেও, বিহারের ক্ষেত্রে হতে চলেছে দ্বিতীয় বন্দে ভারত। ফলে, রেলের তরফে তোড়জোড় তুঙ্গে। দানাপুর ডিভিশনে নতুন রেক নিয়ে শুক্রবার ট্রায়াল রানের প্রস্তুতি চলে। উদ্বোধনের দিন যেমন ঘোষণা হয়নি, তেমনই চূড়ান্ত হয়নি ভাড়ার তালিকাও। কিন্তু তার আগেই বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়ে গেল এই ট্রেন।