নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে কোভিড(Covid) কার্যত ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। কেননা এখন রাজ্যে প্রতিদিন নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১০’র নীচেই থাকছে। কিন্তু সারা দেশের অনান্য রাজ্যগুলির ছবি এত ভাল নয়। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হরিয়ানা, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাতের ছবি এতটা ভাল নয়। কিন্তু এই সব রাজ্য থেকেই প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলায়(Gangasagar Mela) হাজার হাজার পূণ্যার্থী আসেন। আর এখানেই এবার গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে বাংলার স্বাস্থ্য দফতরকে(Health Department)। ভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পূণ্যার্থীদের হাত ধরে যাতে এ রাজ্যে নতুন করে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত না হয় তার জন্য এখন থেকেই এই মেলা ঘিরে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। কোভিড সঙ্গে নিয়ে মেলায় আসা পূণ্যার্থীদের যাতে প্রথমেই ভিড় থেকে আলাদ করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে দ্রুত তাঁর চিকিৎসা করিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তোলা যায় সেই দিকেই এবার সব থেকে বেশি নজর দেওয়া হবে বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন কী পেলেন পদ্মে ভোট দিয়ে, মতুয়াদের প্রশ্ন তৃণমূলের
এবারের গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৯ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি অবধি। সেই সময়েই বা তার আগেই গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই গঙ্গাসাগরে জানুয়ারি মাস থেকেই নিরাপত্তায় কড়াকড়ি করা হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে মেলা চত্বরে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও প্যারামেডিকের সংস্থান রাখা হবে। ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকদের প্রাথমিক হিসাবে এই কাজে প্রয়োজন অন্তত ৪১ জন মেডিক্যাল অফিসার, ২০ জন নার্স ও বেশ ক’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে এবারে মেলার আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে যার একতা বড় অংশই খরচ হবে পরিবহণ ও কোভিড পরিকাঠামোর জন্য। এবারের মেলাতেও এন্ট্রি পয়েন্টগুলিতে কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হবে। গঙ্গাসাগর সংলগ্ন প্রতিটি হাসপাতালে ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ এর ব্যবস্থা থাকছে। সেই সঙ্গে ৫টি অস্থায়ী হাসপাতাল-সহ হারউড পয়েন্ট, কচুবেড়িয়া ও নামখানা বাসস্ট্যান্ড এবং ঘাটেও এই টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন বড়দিন আর নববর্ষে দিঘায় বসছে ইলিশ উৎসব ও বিচ ফেস্টিভ্যাল
কোভিড বেড তথা আইসোলেশান ওয়ার্ড রাখা হবে ডায়মন্ডহারবার, কচুবেড়িয়া, কাকদ্বীপ, বাঙুর, সাগর হাসপাতাল ও সাগরের মেলা হাসপাতালে। সাগরে থাকছে ১০টি ও কচুবেড়িয়া অস্থায়ী হাসপাতালে ৫টি শয্যার ব্যবস্থা। কোভিড মোকাবিলায় ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপ, বাঙুর ও সাগর হাসপাতালে চারটি ক্রিটিক্যাল ইউনিট চালু থাকছে। থাকছে সেফ হাউসও। কোভিড রোগীদের জন্য মজুত রাখা হচ্ছে ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স। থাকবে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ও একাধিক ট্রমা কেয়ার সেন্টার। সব মিলিয়ে মেলা থেকে যাতে কোনঅভাবেই বাংলার বুকে কোভিড ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য এখন থেকেই কোমর বাঁধছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।