নিজস্ব প্রতিনিধি,সন্দেশখালি: অমাবস্যার ভরা কোটালের জের । উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি(Sandeshkhali) দু’নম্বর ব্লকের মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতলা গ্রামে রায়মঙ্গল নদীর প্রায় ৩০০ ফুট বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। ইতিমধ্যে নদীর নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে আতাপুর ,তালতলা, মণিপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। ঘটনাস্থলে সেচদপ্তরে আধিকারিকরা গিয়ে বাঁধ ও পাইলিং দিয়ে বাঁধ মেরামতির চেষ্টা করছে। একদিকে নদীর খরস্রোতা অন্যদিকে জলস্তর এতটাই বেড়ে যাচ্ছে বাঁধ পাইলিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেচ দপ্তরের কর্মীদের।
সামনে আবার নিম্নচাপ হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সুন্দরবনবাসী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শাহজাহানের নির্দেশে ঘটনাস্থলে সন্দেশখালি দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রওফনা ইয়াসমিন মোল্লা ,মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ গাঙ্গুলি সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বসিরহাট(Bashirhat) মহকুমা সেচ দপ্তরে আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে বাঁধ মেরামতি কাজের তদারকি শুরু করেছেন। পাশাপাশি সভাপতি ও প্রধান জানিয়েছেন ,একশ দিনের কাজ বন্ধ। কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে ।
স্থায়ীভাবে বাঁধ(Dam) মেরামতির কাজ করা যাচ্ছে না। প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নোনা জল ঢুকে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে চাষের জমি পাশাপাশি মৎস্যজিবীরাও(Fisherman) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বাঁধ ভাঙ্গার ফলে বাধমেরামতি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বসিরহাট মহকুমার সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু মন্ডল জানান, নদীর বাঁধ অনেক বড় ভেঙেছে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে আমরা চাইছি দ্রুত বাঁধ সাড়াই এর কাজ শেষ করতে চাইছি এর পরে আরো যদি বড় বিপর্যয় আসে সে ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে।