নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্রাতিরিক্ত দ্রব্যমূল্যের বাজারে এখনও তিনি চপ বিক্রি করছেন এক টাকায়। বীরভূমের (BIRBHUM) সিউড়ির এই চপ বিক্রেতার নাম দিলীপ দে। দাম কম হলে কী হবে, চপের স্বাদ এবং আকার বেশ ভালো। আর প্রতিদিন তাঁর দোকানে লেগে থাকে ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন চপ শিল্পের কথা। তা যেন সত্যি করে ফেলেছেন এই শিল্পী থুড়ি বিক্রেতা।
সিউড়ি দু’ নম্বর ব্লকের কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোমাগ্রামের হাইস্কুলের কাছেই তাঁর দোকান। বিক্রেতা জানিয়েছেন, দিনের পর দিন বেড়েছে তেল এবং আলুর দাম। তবু দাম বাড়েনি চপের। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ১ টাকাতেই চপ বিক্রি করে চলেছেন তিনি। এভাবে কমদামে চপ বিক্রি করে স্বাভাবিক ভাবেই লাভ হয় কম। তবুও এভাবেই তিনি চালাচ্ছেন সংসার। কেন এত কম দামে বিক্রি করছেন? কত লাভ হয়? বিক্রেতার উত্তর, কখনও হিসেব করে দেখা হয়নি। হেসে আরও বলেন, সকলকে খাওয়াতে ভাল লাগে তাই ১ টাকাতেই বিক্রি।
বিক্রেতা বলেন, তাঁর গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের পেশা চাষ। তাঁরা অত্যন্ত গরীব। তাই সকলের কথা মাথায় রেখেই এত কমদামে বিক্রি করেন তিনি। এরপরেই বলেন, আসলে তাঁর মায়ের ইচ্ছে ১ টাকায় চপ বিক্রি করুক ছেলে। তা সকলে খেতে পাক। এই নির্দেশ তাঁর মা দিয়েছিলেন। সেই অনুপ্রেরণা নিয়েই এগিয়ে চলছেন দিলীপ।
এই চপ সম্পূর্ণ নিরামিষ। রোজ ১০ কিলো আলুর চপ বানান তিনি। সকালে দোকান খোলা থাকে সাত সকাল থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত। আবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত। আর তার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় সমস্ত চপ। পড়ে থাকে না কিছুই। পরের দিন ফের নতুন করে ১০ কেজি আলু নিয়ে তা মাখিয়ে চলে চপ ভাজা ও বিক্রি। শুধু তাই নয়, বাড়ির ছোট্ট দালানে তাঁর খোলা দোকানও বেশ পরিষ্কার। চপ কেনার জন্য রোজই লেগে থাকে লম্বা লাইন।