নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গে(North Bengal) ৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রয়েছে। একটি মালদা টাউন, একটি নিউ জলপাইগুড়ি(New Jalpaiguri) এবং অপরটি নিউ কোচবিহার। কলকাতার দিক থেকে উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতগামী যাবতীয় ট্রেন এই ৩টি স্টেশনের কোনও না কোনও একটি বা সবকটিকেই ছুঁয়ে যায়। এদের মধ্যে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল নিউ জলপাইগুড়ি। সারাদিন এই স্টেশন ছুঁয়ে শতাধিক ট্রেনের যাতায়াত। এছাড়াও মালগাড়ির যাতায়াতও রয়েছে। তাই অনেকসময় দেখা যায় ট্রেন এসে এই স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে কিন্তু ভিতরে ঢুকতে পারছে না। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের ওপর এই চাপ কমাতেই ঠিক করা হয়েছে শিলিগুড়ি জংশন(Siliguri Junction) থেকে আলুয়াবাড়ি রোড জংশন(Aluyabari Road Junction) পর্যন্ত ৭৬ কিমি দীর্ঘ রুটটিকে ডবল লাইনে রূপান্তরিত করা হবে। সেই লক্ষ্যেই সম্প্রীতি শেষ হয়েছে সেই ডবল লাইন(Double Line) নির্মাণের আগে করা সমীক্ষার কাজ।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে International Standard Exhibition Hall নিউটাউনে
শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলুয়াবাড়ি রোড জংশন পর্যন্ত মোট ১২টি স্টেশন রয়েছে। প্রায় ৭৬ কিমি দীর্ঘ এই রুট। সেই লাইনে বেশি ট্রেন যায় না। তবে নিত্যদিন সেই পথে লোকাল ট্রেন চলে। বেশ কিছু মালগাড়িকেও এই পথে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়িবাসীর দাবি ছিল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যে সব ট্রেন তাদের যাত্রা শুরু করছে বা শেষ করছে তাদের শিলিগুড়ি জংশন পর্যন্ত নিয়ে আসা হোক। পথে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনেও সেই সব ট্রেন থামানো হোক। কেননা শিলিগুড়ি জংশন এবং শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন দুটিই শহরের মধ্যভাগে। সেই দাবির কথাও মাথায় রেখে শিলিগুড়ি জংশন এবং আলুয়াবাড়ি রোড জংশন স্টেশনের মধ্যে ডবল লাইনের কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কাজের জন্যই করা হয় সমীক্ষা। সেই সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে চলতি মাসের শুরুর দিকেই। যেহেতু শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলুয়াবাড়ি রোড জংশন পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজের চূড়ান্ত সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে, তাই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশন সেই রিপোর্ট রেলমন্ত্রকে পাঠাচ্ছে। সেই রিপোর্ট দেখার পর রেলমন্ত্রক সবুজ সঙ্কেত দিলেই ডাবল লাইন পাতার কাজে হাত দেবে রেল।
আরও পড়ুন ‘সুপ্রিমো বিচারপতিদের সম্মান করেন’, মমতার প্রশংসায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
যাবতীয় এক্সপ্রেস ট্রেনের চাপ থাকে আলুয়াবাড়ি রোড থেকে নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে। কিন্তু শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলুয়াবাড়ি রোড জংশন পর্যন্ত ডবল লাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে মূল লাইনে চাপ কমবে। তখন বেশ কিছু ট্রেনকে এই লাইনে বাইপাস করিয়ে দেওয়া যাবে। তবে ডাবল লাইনের কাজ শুরু হলে বর্তমানে রেলের জায়গায় বসবাসকারী বাসিন্দা সহ ওই জমিতে গড়ে ওঠা দোকান, বাজারের ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদের আশঙ্কা করছেন। এই রুটে যে ১২টি স্টেশন রয়েছে সেই স্টেশন সহ লাইনের ক্রসিংগুলির দু’ধারের জমিও জরিপ করা হয়েছে। নিচু জমিতে মাটি ফেলে লাইন বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ডাবল লাইনের কাজ শেষ হলে এনজেপি মেন লাইনে চাপ অনেকটাই কমে যাবে। ট্রেন চালাচলে আরও গতি আসবে।