নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে শিলিগুড়ি পুর নিগমের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বিপুল জয়ের পরেই শিলিগুড়ির মেয়র হিসেবে দলের পোড়খাওয়া নেতা তথা প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ঘোষণার পরেই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে যেমন দলনেত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিলিগুড়ির ভাবী মেয়র, তেমনই জানিয়েছেন দায়িত্ব পাওয়ার পরেই উত্তরের অন্যতম প্রবেশদ্বারকে গতিশীল করা ও নিকাশী ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তোলার দিকে নজর দেবেন।
গত বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়িতে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। পুর নিগম ছিল বামেদের দখলে। ফলে পুরভোট ছিল রাজ্যের শাসকদলের কাছে সম্মানের লড়াই। শিলিগুড়ি দখলের যুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু সোমবার সকালে ইভিএম খুলতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, হেসেখেলেই জিততে চলছে তৃণমূল কংগ্রেস। খড়কুটোর মতো উড়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান বাড়তে থাকে।
দলের বিপুল জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গিয়ে জয়ের প্রধান কাণ্ডারি গৌতম দেব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের জয়ে একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো। বার বার ভোটে লড়াই করে প্রত্যাশিত জয় মিলছিল না। হারের স্বাদ পেতে হচ্ছিল। ফলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করছিল। আজ অনেকটা ভারমুক্ত হলাম।’
মেয়র হিসেবে তাঁর প্রথম কাজ কী হবে, জানতে চাওয়া হলে শিলিগুড়ির ভাবী মেয়র বলেন, ‘পুরভোটের আগেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের একটা রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করব। পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, শহরকে যানজুটমুক্ত করে গতিশীল করা, বস্তিবাসীদের জমির অধিকার দেওয়ার পাশাপাশি মাথার উপরে একটা ছাদ গড়ে দেওয়া এবং নিকাশী ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোই হবে প্রধান কাজ। ওই কাজগুলিকেই সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’