এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘আগে রাম পরে বাম’ ব্যুমেরাং হয়েছে, মানছেন রাম-বামের নেতারা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম বঙ্গের বুকে ৩৪ বছরের লালপার্টির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই মমতা আর তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC) ধাক্কা দিতে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রকাশ্যে জোট বেঁধেছিল বাম(Left) আর কংগ্রেস(INC)। যদিও সেই জোটকে আমজনতা মান্যতা তো দেয়ইনি উল্টে মমতাকেই দ্বিতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় ফিরিয়েছিল ২০০’র বেশি আসন পাইয়ে দিয়ে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে মমতাকে ধাক্কা দেওয়া যাবে না বুঝেই রণনীতির বদল ঘটিয়েছিলেন বামেরা। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই তাঁরা তলে তলে বিজেপির(BJP) হাত শক্ত করতে শুরু করে দেন। যার নির্যাস ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপির ১৮টি আসন প্রাপ্তি ও ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বিজেপির ৭৭টি আসন প্রাপ্তির ঘটনা। বাংলার বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত হয়ে এখন বাম নেতারা মানছেন তাঁদের তোলা শ্লোগান ‘আগে রাম পরে বাম’ কার্যত ব্যুমেরাং হয়েছে লালপার্টির কাছে। গেরুয়া শিবিরের নেতারা এটা স্বীকার করছেন না। কিন্তু তাঁরা এখন বেশ বুঝতে পারছে যে ধাক্কা বামেরা পেয়ে গিয়েছেন এবার সেটাই তাঁদেরও গ্রাস করতে আসছে।

আরও পড়ুন বাংলায় আরও ৮ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায়

গত কয়েকটি নির্বাচনেই বাংলাজুড়ে দেখা গিয়েছে বামকর্মীদের একাংশ নিজেদের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের ‘আত্মঘাতী’ কৌশল নেওয়ায় বাড়তি শক্তি পেয়েছিল বিজেপি। বিশেষ করে গ্রামীণ রাজনীতিতে আড়েবহরে বেড়েছিল বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক। কিন্তু রাজ্য বিধানসভায় বামেদের নাম ও নিশান মুছে যাওয়ার পর নিচুতলার কর্মীদের ‘বোধোদয়’ হয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিজেদের পায়ের নীচের শেষ মাটি ধরে রাখতে আবারও বামকর্মীরা বাম শিবিরেই ফিরছেন রাম শিবির ত্যাগ করে। গ্রামীণ বৃত্তে সেটাই এখন বঙ্গ বিজেপি’র প্রধান মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লিতে শুরু হওয়া বিজেপির ২ দিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনাও চলছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন, বাম নেতাকর্মী থেকে সমর্থকেরা হাত খুলে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েও এখন কেন তাঁরা আবারও মুখ ফেরাতে শুরু করে দিয়েছেন? এর যথাযথ উত্তর অবশ্য বঙ্গ বিজেপির কোনও নেতাই নাকি দিতে পারেননি বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি তাঁরা এই বাম ভোটারদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিই নাকি স্বীকার করতে চাইছেন না। তবে গ্রাম বাংলায় কান পাতলে দেখা যাচ্ছে বিজেপির নেতারা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, মমতা বিরোধী বাম ভোটাররা আবারও লাল পতাকার নীচেই জড়ো হচ্ছেন।

আরও পড়ুন ভগবতের পথেই মমতা, ইঙ্গিতবাহী বার্তা LGBTQদের জন্য

কেন এমনটা হচ্ছে? বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলার বাম ভোটাররা ভেবেছিলেন বিজেপি হাত ধরলে মোদি ঝড়ে উড়ে যাবেন মমতা। সেই জন্যই তাঁরা হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছিলেন বিজেপিকে। তারই নির্যাস, বাংলার বিধানসভা থেকে বাম-কংগ্রেসের বিলুপ্তি ও একক বিরোধী দল হিসাবে বিজেপির উত্থান। কিন্তু সেই একুশের ভোটে বিজেপির হার মমতা বিরোধীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশের সর্বশক্তি দিয়ে বাংলার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লেও মমতার গদি ওল্টানোর মুরোদ মোদি বাহিনীর নেই। বাংলার মানুষ বাংলার মেয়েকেই চায়। একই সঙ্গে বাংলা দখলের ছক কষা বিজেপি প্রতি পদে পদে বাংলাকে কতটা অপমান করছে, বাঙালিদের অপমান করছে, বাংলা ভাষাকে লাঞ্চিত করছে, বাংলার সভ্যতা-সংস্কৃতি-কৃষ্টি-ইতিহাসকে বিকৃত করছে তাও দেখেছেন সেই মমতা বিরোধী বাম ভোটাররা। আর যত দেখেছেন ততই আঁতকে উঠছেন। তাই বিজেপিকে বাংলায় জমি দেওয়া যে ভাল হবে না সেটা বুঝেই আবারও বাম ভোটাররা ফিরছেন তাঁদের নিজ দলের ছত্রছায়াতেই। আর তার জেরে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই স্পষ্ট হবে বাংলার বুকে বিজেপি অস্তত্ব আর কতদিন টিকে থাকবে!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর