এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্কুলে নেই শিক্ষক, আসে না পড়ুয়ারা, ঝোপঝাড়ে ঢাকা শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিনিধি: বছর ১০ আগে চালু হয়েছিল এই স্কুল। তার এক বছরের মধ্যেই সরকারি অনুমোদনও পেয়ে গিয়েছিল স্কুলটি। পড়ুয়া সংখ্যাও বাড়ছিল একটু একটু করে। কিন্তু একসময় স্কুল চালানোর মতো আর কোনও শিক্ষকই মেলেনি। আর স্কুলে শিক্ষক না থাকার জন্য, পড়ুয়ারা আসাও বন্ধ করে দেয়। সেই থাকেই তালাবন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেই স্কুল। এখন তা রীতিমত ঝোপঝাড়ে মুখ লুকিয়েছে। এহেন স্কুলের অবস্থান বীরভূম(Birbhum) জেলার সিউড়ি(Suri) সদর মহকুমার রাজনগর(Rajnagar) ব্লকের নাকাশ গ্রামের। আর স্কুলের নাম, ইদগাছা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়(Idgacha Upper Primary School)। ২০১২ সালে চালু হওয়া সেই স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে শুধুমাত্র শিক্ষকের অভাবে। রাজ্য সরকার যখন নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তখন নতুন করে আবারও এই স্কুল নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন এলাকাবাসী।

জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের চাপ কমানোর জন্য এই উচ্চ প্রাথমিক না নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি খোলা হয় নাকাশ গ্রামের স্থানীয় কিছু বাসিন্দার উদ্যোগে। সেই সময় পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত এই স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ খুলে গিয়েছিল। স্কুলটি চালানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন এলাকারই ৭-৮ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ২০১৩ সালে এই স্কুল রাজ্য সরকারের অনুমোদন পায়। তাতে গ্রামবাসীরা ভেবেছিলেন এবার বোধহয় স্কুলে শিক্ষকের অভাব দূর হবে। কিন্তু তা তো হয়নি, উল্টে বিপরীত ঘটনাই ঘটেছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা একে একে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানাইলাল মণ্ডলের দায়িত্বে স্কুল পরিচালিত হতে শুরু করে। তিনিও এক সময় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর স্কুলের দায়িত্ব নেন শান্তনু মণ্ডল নামে এক শিক্ষক। কিন্তু তিনি পরবর্তীকালে অন্যত্র বদলি হওয়ার পর আর কেউ এগিয়ে আসেননি এই স্কুলটি চালানোর দায়িত্ব নিতে। কার্যত তার জেরেই স্কুলে তালা পড়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন। আর এই অবস্থায় শতাধিক পড়ুয়ার অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের ফের রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয়েই ভর্তি করতে বাধ্য হন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই স্কুলটি একদশক আগে যখন চালু হয়েছিল তখন তাঁরা অনেকেই স্বস্তি পেয়েছিলেন। রাজনগরের আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম শঙ্করপুর, বাঁদি, বরশাল, আবাদ নগর, নাকাশ, ইদগাছা, দিহিয়াগাল, মোলবুনি সহ একাধিক গ্রামের পড়ুয়ারা এই স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। স্কুল তৈরি হলেও স্কুলে সব রকম পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করেনি রাজ্য সরকার। ফলে এখন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে স্কুলটি। স্কুলের দায়িত্ব সামলে যাওয়া কানাইলাল মণ্ডলের বক্তব্য,‘সাত-আট জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং ৬৫ থেকে ৭০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে স্কুল শুরু হয়। পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়াদের স্কুলে পড়ানো হতো। প্রচণ্ড পরিশ্রম করে এই স্কুলটি তৈরি করেছিলাম। এই স্কুলটির সঙ্গে আমার অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। খুব খারাপ লাগছে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। ৭জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ১জন ক্লার্ক ও ১জন পিওন এই স্কুলে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করার জন্য বারবার জেলা শিক্ষাদফতর এবং সর্বশিক্ষা মিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। এখনও সময় আছে। স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক এলেই আশপাশের গ্রামের অনেকে ছেলেমেয়ে ফের এই স্কুলে এসে ভর্তি হবে। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ না হলে স্কুল বন্ধ হয়েই পড়ে থাকবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ঘটনাস্থলে ৩ টি ইঞ্জিন

নির্বাচনী জনসভায় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

রবিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

রামনবমীতে অশান্তি, বেলডাঙ্গা ও শক্তিপুরের ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে জরুরি বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর