এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হাইকোর্টের রায়ে ১৬ বছর বাদে চাকরি পেলেন ৮৪জন

নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বিপ্লব আদালত চত্বরে। কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) রায়ে ১৬ বছর বাদে চাকরি পেলেন ৮৪জন। এই রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা রাজ্যের সেচ দফতরের(Irrigation Department) ময়ূরাক্ষী ক্যানেল সার্কেলের(Mayurakshi Canel Circle) চতুর্থ শ্রেণির কর্মী(Fourth Division Staff Post) পদের জন্য ২০০৭ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার পর মামলার জেরে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গিয়েছিল। নতুন রায়ে আদালত জানিয়ে দিয়েছে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে এই ৮৪জনের চাকরির নির্দেশকে কার্যকর করতে হবে। এই ঘটনায় কার্যত বুঝিয়ে দিল ঘটনা যত পুরাতনই হোক না কেন, সেখানে যদি সামান্য ভুলও থাকে ও তা যদি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় তাহলে সুবিচার মিলবেই।

আরও পড়ুন মমতার বাংলায় প্রশ্নের মুখে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কমছে কন্যাসন্তান

ঠিক কী হয়েছিল? ২০০৭ সালে রাজ্যের সেচ দফতর ১৪০৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেই বিজ্ঞপ্তি(Notice) কোনও প্রথমশ্রেনীর সংবাদপত্রে দেওয়া হয়নি। তারপরেও প্রায় ৬০ হাজারের মতো চাকুরিপ্রার্থীরা সেই পদের জন্য আবেদন করেন ও পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু সেই ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন কিছু যুবক। সেই মামলা দায়ের হয়েছিল ওই চাকরির বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে। কেননা মামলাকারীদের দাবি ছিল, রাজ্যের প্রথম শ্রেনীর বাংলা কোনও সংবাদপত্রে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যেহেতু প্রকাশ করা হয়নি তাই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ। কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলায় রায় দিয়েছিল মামলাকারীদের পক্ষেই। খারিজ হয়ে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিন্তু ততদিনে ওই পদের জন্য অনেকেই নিয়োগ হয়ে গিয়েছিলেন। হাইকোর্টের রায়ে তাঁদের চাকরি চলে যায়। চাকরি ফিরে পেতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) জিতেও যান তাঁরা। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় প্রথম শ্রেনীর বাংলা সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি বিজ্ঞাপন আকারে দেওয়া না হলেও যেখানে দেওয়া হয়েছিল তা দেখে ৫৭ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন। তাই এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই কখনই অবৈধ বলা যায় না। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সুপ্রিম কোর্ট শুধু বৈধ বলেই রায় দেয় তা নয়, কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজও করে।

আরও পড়ুন কলকাতার নজরদারিতে বিপ্লব, বসছে ১০ হাজার CCTV আর ANPR Camera

এ দিকে ৮৪ জনকে নিয়োগের প্যানেল রোল নম্বর-সহ প্রকাশ হয় ২০১০-এর ২৪ জুলাই। সেই তালিকায় ত্রুটি আছে জানিয়ে ফের ১২ অগস্ট নাম-সহ বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফায় ওই প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রথম প্যানেলে নাম ওঠা ৮৪ জনের নাম ছিল না। তার জেরে প্রথম তালিকায় নাম ওঠা প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে যান। আদালত ট্রাইব্যুনালে মামলা করার অনুমতি দেয়। যদিও ট্রাইব্যুনাল প্রথম প্যানেলের নাম থাকাদের চাকরি দেওয়ার আবেদন খারিজ করে। তাঁর জেরে ওই ৮৪জন ফের কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানায়, প্রথম প্যানেলে ভুল করে রোল নম্বরের জায়গায় প্রার্থীদের সিক্রেট কোড প্রকাশ হয়েছে। তাই ওই ত্রুটি কখনই দুর্নীতি হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে না। কেননা এই ৮৪টি সিক্রেট কোড দ্বিতীয় তালিকায় যাঁদের নাম ওঠেনি, তাঁদের রোল নম্বরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তাই এই ৮৪জনকেই ওই পদের জন্য নিয়োগ দিতে হবে এবং সেটা আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর