এই মুহূর্তে




ঘুমন্ত পুত্রবধূকে খুন করে গ্রেফতার শ্বশুর, নেপথ্যে কী পরকিয়া, উঠছে প্রশ্ন

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজের ছেলের বউকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন শ্বশুর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে হুগলি জেলার(Hooghly District) চন্দননগর মহকুমার ভদ্রেশ্বর(Bhadreshwar) পুরসভার পালপাড়া এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা ছেলের অগোচরে পুত্রবধূর(Daughter in Law) পরকিয়া করে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি শ্বশুর(Father in Law)। সেই কারণেই ঘুমন্ত পুত্রবধূকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন(Murder) করেছেন শ্বশুর। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মিঠু মিত্র(২৯)। অভিযোগ, মিঠুর স্বামী নীলাংশু মিত্র এদিন সকাল সকাল বাজারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় ঘরে ঢুকে বৌমাকে কুপিয়ে খুন করেন শ্বশুর হিমাংশু মিত্র। খুনের সময় পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল মিঠুর ১০ বছরের মেয়ে। আচমকা তার চিৎকারেই প্রতিবেশীরা ছুটে যান মিত্র-বাড়িতে। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বধূকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, অভিযুক্তকেও হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

মৃতার মা নমিতা দাস এদিন জানিয়েছেন, ‘রাতেও মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু কী থেকে কী হল কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। কিন্তু আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কেন মারা হল, জানি না।’ প্রতিবেশীদের দাবি, ‘আগে থেকে দরজা বন্ধ করে মেয়েটাকে কোপানো হয়। বাচ্চা মেয়ের কান্না শুনে আমরা ছুটে আসি। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। দোষীর কঠোরতম শাস্তি চাই।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে এমনটা করে থাকতে পারেন হিমাংশু। কেননা শ্বশুরের সঙ্গে বিশেষ সুসম্পর্ক ছিল না মিঠুর। তবে প্রতিবেশীরা এটাও জানিয়েছেন মিঠুর দাম্পত্য জীবনে কোনও অশান্তি দানা বেঁধেছে সেটা তাঁরা বুঝতে পারেননি। কেননা তাঁরা কখনও ঝগড়াঝাঁটি শোনেনি। তবে সাংসারিক অশান্তি থাকতে পারে। ঘটনার পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ও পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে।

গ্রেফতার হওয়ার পরেও অবশ্য বেশ নিরুত্তাপ ছিলেন হিমাংশু মিত্র। তিনি খালি একটি কথা পুলিশ আসার আগে বার বার আউড়ে গিয়েছেন, ‘যা করেছি ছেলের ভালর জন্য করেছি।’ আর এখানেই তদন্তকারীদের ধারনা মৃতা সম্ভবত কোনও পরকিয়ায়া জড়িয়ে পড়েছিলেন যা জানতে পেরে গিয়েছিলেন হিমাংশু। সেই জায়গা থেকেই রাগের জেরে এই সিদ্ধান্ত। যদিও পাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মিঠু খুব মিশুকে ছিলেন। তাই পরকিয়ায় জড়ালে তার আঁচও মিলতো। কিন্তু সেভাবে তাঁরা কিছু জানতে পারেননি। তবে হিমাংশু বরাবরই চুপচাপ স্বভাবের। তাই ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে খুন করেছেন তা সহজগম্য নয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার(Arrested) করেছে হিমাংশুকে। তাকে আগামিকাল চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিঘার সমুদ্রের জলে ভেসে আসা জগন্নাথ দেবের মূর্তির রহস্য সামনে এল

ছেলের সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত

‘ওয়ান ইন আ মিলিয়ন’, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সজ্জন জিন্দাল

মালদহে চোলাই খেয়ে মৃত্যু হল আদিবাসী গৃহবধুর

মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করার অপরাধে বাবা-মাকে গ্রাম ছাড়া করে বাড়ি দখলের অভিযোগ

শালবনির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৫ হাজার কর্মসংস্থান, ঘোষণা মমতার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর