নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিবছরই সুন্দরবনে(Sundarban) মীন ধরতে গিয়ে বা মধু সংগ্রেহে গিয়ে বাঘের হামলায়(Tiger Attack) মৎস্যজীবী(Fisherman) বা মধুকরদের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। তারপরেও অব্যাহত থাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনে গিয়ে মীন বা মধু সংগ্রহের পালা। পরিসংখ্যান বলছে এপার বাংলায় সুন্দরবনের বুকে প্রতিবছর গড়ে ১০জন করে প্রাণ হারান বাঘের হাতে। ২০২৩ সালের শেষ মাসেও সেই ঘটনা ঠেকানো গেল না। সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের কবলে পড়লেন এক মৎস্যজীবী। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের নেতিধোপানির কাছে পিরখালির জঙ্গলে(Pirkhali Jungle)। নদীর চরে কাঁকড়া ধরার সময় এক তরুণ মৎস্যজীবীকে তুলে নিয়ে যায় বাঘ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৎস্যজীবীর নাম মৃত্যুঞ্জয় সুতার। বয়স মাত্র ২৮ বছর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ক্যানিং মহকুমার গোসাবা ব্লকের ঝড়খালির আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা তিনি।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুঞ্জয় শনিবার সকালে সঙ্গীদের সঙ্গে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে বেরিয়েছিলেন। তারপর আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে বন দফতরকে জানিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গীরা। খোঁজ শুরু করেছে বন দফতর। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঠিক এক দিন আগে ঝড়খালির আরও এক মৎস্যজীবী সুশান্ত প্রামাণিক বাঘের হানায় প্রাণ হারান। সঙ্গীরা বাঘের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে তাঁর দেহ ছিনিয়ে আনেন। তবে মৃত্যুঞ্জয়কে ফিরিয়ে আনতে পারেননি তাঁর সঙ্গীরা। প্রতি বছর সুন্দরবনে এইভাবে বেশ কিছু মৎস্যজীবী বাঘের হামলায় শুধু প্রাণ হারান তাই নয়, অনেকেরই দেহ খুঁজেও পাওয়া যায় না। পরে দেহ পাওয়া গেলেও তা পুরো থাকে না। দেখা যায় পড়ে আছে শুধু দেহাংশ। বাকি সব চলে গিয়েছে মানুষখকো ভয়ঙ্কর সুন্দর The Royal Bengal Tiger’র পেটে।