এই মুহূর্তে




হাতি উপদ্রুত জেলায় ‘গজমিত্র’ নিয়োগ করতে চলেছে বনদফতর




নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতির(Elephant) উপদ্রব থেকে সম্পত্তিহানি ও প্রাণহানি রুখতে এবার প্রতিটি হাতি উপদ্রুত জেলায় ‘গজমিত্র’(Gajamitra) নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য বনদফতর(Forest Department)। গজমিত্রদের কাজ হবে, হাতির গতিবিধি সম্পর্কে বনদফতরকে আগাম সাবধান করা। জঙ্গলে হাতির অবস্থান, কোন রুট ধরে হাতিরা এগোচ্ছে, দলে বাচ্ছা হাতি আছে কিনা, এই সব তথ্য বনদফতরকে সরবরাহ করবে গজমিত্ররা। ক্ষেত্র বিশেষে তাঁদের সেই সব তথ্য জানাতে হবে স্থানীয় ব্লক, মহকুমা অথবা জেলা প্রশাসনকে। হাতির সম্ভাব্য রুটে কোনও পুরসভা এলাকা পড়লে সেই পুর কর্তৃপক্ষকেও আগে থেকে সতর্ক করে দেবে এই গজমিত্ররা। আপাতত ঠিক হয়েছে, উত্তরবঙ্গের(North Bengal) ৩টি জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) ৭টি জেলায় এই গজমিত্র পদে নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি জেলার জন্য ১০জন করে গজমিত্র নিয়োগ করা হবে। সম মিলিয়ে গজমিত্র পদের জন্য রাজ্য বনদফতর ১০০জন যুবককে নিয়োগ করতে চলেছে।

আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গের জেতা আসনেও নেই বিজেপির বুথ কমিটি

রাজ্য বনদফতরের আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যের এখন প্রায় ১০টি জেলা হাতি উপদ্রুত হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং এবং দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান ও বীরভূম। এই সব জেলায় গত কয়েক বছর ধরেই হাতির অনুপ্রবেশের ঘটনা বেশ বেড়ে গিয়েছে। এমনকি এটাও দেখা যাচ্ছে, অনেক হাতি পাকাপাকি ভাবে এই সব জেলার জঙ্গলে থেকেও যাচ্ছে। এরাই মাঝেমধ্যেই খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে আশেপাশের গ্রামে ও চাষের জমিতে হানা দিচ্ছে। এই সব হাতি তাড়ানোর জন্য হুলাপার্টির লোকজন আছেন। এবার তাঁদের কাজে সহায়তা করার জন্যই গজমিত্রদের নেওয়া হচ্ছে। এরা এলাকায় হাতি ঢুকলেই বনদফতরকে খবর দেবে। এতে সমস্যা কিছুটা কমবে। ফলে প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও ঠাকনো যাবে। মাঠের ফসলেরও ক্ষতি ঠেকানো যাবে। বিশেষ করে জঙ্গলঘেরা গ্রামের আশেপাশে হাতির উপস্থিতির সঠিক তথ্য না থাকার কারণে রাজ্যে বেশ কিছু জায়গায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেটা কিছুটা হলেও এবার ঠেকানো যাবে।

আরও পড়ুন বিজেপি ছাড়ার হিড়িক, এবার দল ছাড়লেন কাঞ্চনা মৈত্র

আগে হাতির গতিবিধি জানান দেওয়ার জন্য রাজ্য বনদফতর স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপরেই ভরসা রাখত। হাতির গতিবিধির খবর দিতে পারলে দিনপিছু ২৮৪ টাকা করে সম্মানিক দেওয়া হতো তাঁদের। সেই সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে থেকেই এখন গজমিত্র পদে নিয়োগ করা হবে। এতদিন এঁদের কোনও পোশাকি নাম বা স্বীকৃতি ছিল না। এবার এই সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের ‘গজমিত্র’ বলে ডাকা হবে এবং নির্দিষ্ট পোশাক ও মোবাইল রিচার্জ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হবে। গজমিত্ররা বন বিভাগের আঞ্চলিক অফিসে হাতির গতিবিধির খবর জানানোর পাশাপাশি হাতিদের চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলির বাসিন্দাদেরও সতর্ক করবে। হাতির দলকে কেউ যাতে উত্যক্ত না করে তারজন্য লাগাতার প্রচার চালাবে। জঙ্গল থেকে হাতি লোকালয়ে বের হলে তাদের লোকেশন জানাবে গজমিত্ররা। যাতে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে তারজন্য গজমিত্ররা হাতির কাছাকাছি কাউকে যেতে দেবে না। হাতি ঢোকার বিভিন্ন পয়েন্টগুলিতে এরা নজরদারি চালাবে। প্রতিটি বনবিভাগের অধীনে ১০ জন করে গজমিত্র থাকবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার চতুর্থীতে অসুর হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি, সঙ্গে রাখুন ছাতা

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

চাহিদা তুঙ্গে, বর্ধমান থেকে মালয়েশিয়ায় গেল জামদানি

মাত্র ৯৯৯ টাকা ! পুজোয় ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে, মিলবে একাধিক সুবিধা

বন্ধ বেলুড় মঠ জেটি ঘাট, একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে লঞ্চ কর্মীরা

কেঁচো খুড়তে কেউটে! অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে কোটি কোটি প্রতারণা চক্রের হদিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর