এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চাকলার মঞ্চ থেকেই ধর্ম পর্যটনে জোর মমতার, দিলেন নয়া দমকল কেন্দ্রও

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁর সফরকে ঘিরে আগে থেকেই প্রহর গুণছিল চাকলা(Chakla)। কেননা তিনি এলে কিছু না কিছু বাড়তি প্রাপ্তি হয়েই যায়। নিরাশ করলেন না তিনি। ঘোষণা করে দিলেন চাকলায় হবে নতুন দমকল কেন্দ্র(Fire Station)। নজরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিনি উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার চাকলায় গিয়েছিলেন লোকনাথ মন্দিরে(Loknath Temple) পুজো দেওয়ার পাশপাশি কিছু নির্মাণের উদ্বোধন করতে। সেই সব সেরে তিনি মন্দিরের পিছন দিকে মাঠে নির্মীত মঞ্চ থেকেই চাকলা তথা বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ধর্ম পর্যটনকে(Religion Tourism) হাতিয়ার করে রাজ্যের উন্নয়নের ছবি তুলে ধরেন সকলের কাছে। বলেন, ‘একতাই বাংলার শক্তি। তাই এখানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিশ্চান, জৈন থেকে মতুয়া, রাজবংশী সকলে হাতে হাত মিলিয়ে পরস্পরের উৎসবে সামিল হয়। বাংলার এই একতাকে ধরে রাখতে হবে।’

এদিন মুখ্যমন্ত্রী চাকলা থেকে বলেন, ‘লোকনাথ ঠাকুরের মন্দিরে আজ আমি পুজো দিয়েছি। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমি এসেছিলাম। তখন কিছু জিনিসের বাসনা ছিল। আমরা লোকনাথ ঠাকুরের উৎসব করি। মন্দির চত্বরে গেট। ভোগ ভবন, টিকিট কাউন্টার, ফুলের দোকান. পুকুরের সৌন্দর্যায়নের করা হয়েছে। প্রায় ৫ কোটি এখন খরচ হয়েছে। আগে খরচ হয়েছে তিন কোটি টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৯ কোটি খরচ হয়েছে। এ ছাড়া আর এক তীর্থক্ষেত্র কচুয়াতেও কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার একাধিক জায়গায় রাস্তা উদ্বোধন হয়েছে। লোকনাথ বাবা যুগপুরুষ। তিনি ভেদাভেদ মানতেন না। তিনি হিন্দু-মুসলমান মানতেন না। এটা মানবতার ধর্ম। আমাদের পবিত্র কর্তব্য সেটা রক্ষা করা। রাজ্য জুড়ে একাধিক তীর্থক্ষেত্র করা হয়েছে। নানা উন্নয়ন করা হয়েছে। ঠাকুরনগর এই জেলায়, যা ঢেলে সাজানো হয়েছে। মতুয়া ঠাকুর বাড়িতে নানা কাজ করা হয়েছে। আজ রাজ্য জুড়ে ৪০০ কোটির বেশি কাজ করা হয়েছে। স্কাই-ওয়াকেই প্রায় ৮০-৯০ কোটি খরচ হয়েছে। কালীঘাটেও স্কাইওয়াক হচ্ছে। তারাপীঠ সাজানো হয়েছে। যেখানে যেটা প্রয়োজন সবটাই আমরা করেছি। তারীপাঠ, ফুরফুরা শরিফ, গির্জা, গুরুদ্বার  আমরা সব তীর্থস্থানেরই পরিকাঠামো উন্নয়ন করছি। পুরীর কায়দায় দিঘায় গড়ে উঠছে জগন্নাথ দেবের মন্দির। আগামী ৬ মাসের মধ্যে ওই মন্দিরের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এবার দিঘা বেড়াতে গেলে জগন্নাথ দর্শনও হয়ে যাবে।’

এখান থেকেই মমতা মতুয়া ধর্মসমাজের বড়মা বীণাপানি দেবীকে নিয়েও বক্তব্য রাখেন। বলেন, ‘বড় মাকে আমি দেখতাম। তার চিকিৎসা করেছি। আমরা মতুয়াদের জন্য অনেক করেছি। শেষের দিকটা আর ধরে রাখতে পারলাম না। তবে যখনই সময় পেয়েছি আমি গিয়েছি। উনি আমাকে খুব ভালবাসতেন। আদর যত্ন করতেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তাঁর চিকিৎসার জন্য। তখন কজন যেত ওনার কাছে? এখন সব লাইন দিয়ে যাচ্ছে। ওখানে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় গড়েছি। মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ গড়েছি। রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। কলেজ, হাসপাতাল করেছি। ওদের উৎসবে আমরা ছুটিও দিই। বাংলা ধর্মীয় তীর্থস্থানের জায়গা। এই বাংলা একতার জায়গা। আমি সব অনুষ্ঠানে মিলে মিশে থাকি। গঙ্গাসাগরে আগে থাকার জায়গা ছিল না, এখন চেহারা বদলে গিয়েছে। এখন সবাই বলছে ডেস্টিনেশন বাংলা।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জঙ্গলমহল থেকে ব্যারাকপুর, সর্বত্র প্রচারে ঝড় তুললেন দেব

দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে ,পৌঁছে যাবে ৪০ ডিগ্রির ঘরে

লক্ষ্মী ভান্ডার বন্ধ হবে না, ডিগবাজি খেয়ে বললেন অমিত

‘আমি নিজে মানহানির মামলা করতে যাচ্ছি’, হুঙ্কার মমতার

‘মোদি আসলে দেশ শেষ’, বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে দাবি মমতার

জামিন চেয়ে আদালতে সন্দেশখালির পিয়ালি দাস, জেলে পাঠালেন বিচারক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর