এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

লাগাতার অশান্তিতে জিডি বিড়লা ছাড়ছে একের পর এক পড়ুয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ দুবছর পর অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে খুলেছিল স্কুল। তারপর ফি দিতে গিয়ে নাজেহাল হওয়া, আদালতের রায়ের পরেও সমস্যা না মেটা, স্কুল বন্ধ, শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে না দেওয়া, অভিভাবকদের অপদস্থ করার বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে প্রকাশ্যে। তা নিয়ে বচসা, বিক্ষোভ। একাধিক ঘটনায় আসলে জর্জরিত ছোট ছোট পড়ুয়ারা। তাই বর্তমান স্কুল ছাড়িয়ে সন্তানকে অন্য স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেক অভিভাবক- অভিভাবিকা। অনেক পড়ুয়াই ইতিমধ্যে ছেড়েওছে স্কুল।

জিডি বিড়লায় (GD Birla School) পাঠরত এক পড়ুয়ার বাবা বলেন, প্রতি বছর ফি (Fees) বাড়ানো হয়। অতিমারিতে সকলেরই আর্থিক দিকে প্রভাব পড়েছে। তাই বিদ্যালয় বেতন বাড়ালে তার জন্য কিছু দিনের সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মতো ৫০ শতাংশ বেতন মেটানো হয়েছিল তখনই। তবু স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। শুধু তাই পরে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হলেও পড়ুয়াদের ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি। আটকে রাখা হয়। পড়ুয়াদের (Students) বাড়ির লোকের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা হয়। তারপর স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও খুলল কিন্তু পুরো টাকা না দিলে ক্লাস করতে দেওয়া হবে না সাফ জানিয়েছে স্কুল। এমনকি মার্কশিট দেওয়া তো দূরের কথা দেখতেও দেওয়া হয়নি। তাই উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে স্কুল ছাড়িয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। আবার অনেক পড়ুয়ার বাবা- মা বলেন, সামান্য সময় চাইলেও দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত বাজে ব্যবহার করেছে। আদালতকে (Court) অবমাননা করে যাচ্ছে গায়ের জোরে।

অনেকে আবার পুরো বেতন দিলেও এই অশান্তির মধ্যে জড়াতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, বেতন দেওয়া হলেও স্কুল একই বিষয়েই মন দিয়ে আছে। ফলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ আর নেই। তাই বাধ্য হয়ে স্কুল ছাড়ানোর সিদ্ধান্ত। জিডি বিড়লা অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে অভিযোগ, স্কুল এটা বুঝতে পারছে না অভিভাবক- অভিভাবিকারা স্কুলের শত্রু নয়। বাজে ব্যবহার না করে একসঙ্গে বসে আলোচনা করলে এই সমস্যার সমাধান হত কিন্তু তাতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত ঘটনার সূত্রপাত হয়  ৪ এপ্রিল। অভিভাবকরা স্কুলের ধার্য করা টাকা দিতে না পারায় পড়ুয়াদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি স্কুলে। অনেক তর্কাতর্কির পর যদিও বা ঢুকতে দেওয়া হল কিন্তু তারপরেই অভিযোগ উঠল ক্লাস করতে না দেওয়ার। এখানেই শেষ নয়, ছোট পড়ুয়াদের আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে স্কুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছিল, জিডি বিড়লা ও মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশ মতো পঞ্চাশ শতাংশ ফিজ জমা করলেও হেনস্থা করা হচ্ছে পড়ুয়া ও অভিভাবক- অভিভাবিকাদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবক- অভিভাবিকাদের বচসা হয়। তা বাড়তে বাড়তে রূপ নেয় ধ্বস্তাধ্বস্তির। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল চাঞ্চল্য। তৈরি হয়েছিল তীব্র ক্ষোভ। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিল শিক্ষা মহল।

মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারের পড়ুয়াদের পরিবারের অভিযোগ, সকাল প্রায় ৮ টা থেকে স্কুলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থীকে গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বহু বাকবিতণ্ডার পর ঢুকতে দেওয়া হলেও ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি। তার চেয়েও বড় অভিযোগ, যদি ক্লাস করতে দেওয়া হবেই না ঠিক করেছিল কর্তৃপক্ষ, তবে কেন আটকে রাখা হয়েছিল? বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না? আরও অভিযোগ, টাকা দিতে না পারার জন্য দেওয়া হয়নি রিপোর্ট কার্ড।

সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে স্কুলের মাইনে। তাতে এককালীন যে টাকা চাওয়া হয়েছিল তা দিতে পারেননি পড়ুয়াদের পরিবার। এরজন্য কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে স্কুল কিছুতেই মানতে রাজি নয়। সাফ জানানো হয়েছে ক্লাস করতে হলে আগে পুরো টাকা মিটিয়েই তা করতে হবে।

আবার জিডি বিড়লা স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এদিন প্রায় ৯০ জন ছাত্রীকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হাই কোর্টের নির্দেশ মতো বকেয়া মেটালেও ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি ছাত্রীদের। স্কুলের দাবি, তাদের ধার্য করা বেতনই একেবারে মেটাতে হবে। আরও অভিযোগ, রিপোর্ট কার্ড দেওয়া তো দূরের কথা, দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনকি শুধু ‘সরি’ বলে মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগও করা হয়েছে।

দুটি স্কুল জুনিয়র ও সিনিয়রদের। দুটোই বিড়লা অধীনস্থ। কর্তৃপক্ষের এই ব্যবহার আদালত অবমাননা বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের পরিবারের। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল  অভিভাবক- অভিভাবিকারা। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ স্কুল থেকে কোনও পড়ুয়াকে আর্থিক কারণে বহিস্কার করা যাবে না। পরীক্ষাতেও বাধা দেওয়া যাবে না। জুনিয়রদের প্রথমে ঢুকতে না দেওয়া, পরে ঢুকতে দিলেও ক্লাস করতে না দেওয়া এবং আটকে রাখা আর সিনিয়রদের বিদ্যালয়ে ঢুকতেই না দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছিল তীব্র অসন্তোষ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ঘাটাল ‘মাস্টারপ্ল্যান’ কবে, দেবকে পাশে রেখে জানিয়ে দিলেন মমতা

মঙ্গলবার গোটা বঙ্গ জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, ২৩ মে নিম্নচাপ বলয় তৈরির সম্ভাবনা প্রবল

‘রামের নামে ভোট চেয়ে রাবণদের সংসদে পাঠাচ্ছে’, হুগলিতে সরব অভিষেক

শনিবার থেকে ডায়মন্ডহারবার জুড়ে প্রচারে নামছেন অভিষেক

‘অন্য অনেকের থেকে জঙ্গলমহল আমি অনেক ভাল বুঝি’, দাবি মমতার

সেফটি পিনেই ভরসা, ছেঁড়া চপ্পল ছাড়তে নারাজ মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর