নিজস্ব প্রতিনিধি,হিলি: দিদির দুত কর্মসূচির আয়োজন হল হিলি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি(Hili) ব্লকের কালিবাড়ি মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে দিদির দুত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচির অন্তর্গত বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ ও মানুষের সমস্যাগুলি লিপিবদ্ধ করেন। এবং সমাধানের পথ দেখান দিদির দূতের সদস্যরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণের নর্দমা, এটা ছিল অবস্থা ও পথ বাতি নিয়ে সমস্যার কথা জানালে দিদির দূতের(Didir Doot) প্রতিনিধিরা তৎক্ষণা ছুটে যান পঞ্চায়েতের প্রধানের নিকট। দ্রুত সারাই করবার জন্য আলোচনা করেন। এরপর পঞ্চায়েত প্রধানের আশ্বাস মেলায় অবশেষে জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়। স্থানীয় মাতাস বাজারে একটি সভার মাধ্যমে আজকের দিনে দিদির দুত কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘটে ।
অন্যদিকে মালদহে ফের আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এলো। এবারে দুর্নীতিতে নাম জোড়ালো স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও তার স্বামীর। পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী নাকি এলাকায় প্রভাবশালী বলে পরিচিত লোকে মুখে। সে সুবাদে এলাকার গরিব অসহায় নিরীহ মানুষজনের কাছ থেকে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের কাটমানি দাবি করে বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্য ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের কালিয়াচক (Kaliaychak)১ নং ব্লকের কালিয়াচক ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তেতরুটোলা এলাকায়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এহেন কান্ড কোন দিকে মোড় নেই সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকার আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা ১৭ জন প্রকৃত উপভোক্তা যাদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাদের পাকা বাড়ি পাওয়ার কথা। তবে আশ্চর্যের বিষয় আবাস প্লাস তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও সেই তালিকা থেকে ১৭ জন উপভোক্তাদের নাম রাতারাতি বাদ পড়ল কিভাবে। পাশাপাশি, ওই গ্রামের দুই থেকে তিন জন প্রকৃত উপভোক্তার আবাসের তালিকায় নাম এসেছিল কিন্তু প্রাপ্য টাকা অন্যজনের একাউন্টে ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্য ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন এখানেই আবেদনকারীর ব্যক্তির নাম এবং যার একাউন্টে টাকা ঢুকেছে তার নাম একই হলেও একাউন্ট নাম্বার কিভাবে একই হয় এখানেও কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ। গোটা বিষয়টি আপাতত তদন্ত সাপেক্ষ।