এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

এ কেমন IC, থানাতেই করছেন চাষআবাদ

নিজস্ব প্রতিনিধি: আছে তাঁর খাঁকি উর্দি। আছে সার্ভিস রিভলবারও। কিন্তু কোদাল-কাস্তে হাতে তাঁকে চাষ করতেও দেখেন সহকর্মী থেকে আমজনতা। এহেন মানুষটাই এলাকাবাসীকে চমকে দিয়েছেন থানার ১ বিঘা জমিতে ২০ ধরনের ফসল ফলিয়ে। তাঁর ফলানো ফসল থুড়ি সবজি দিয়েই চলছে থানায় থাকা পুলিশকর্মীদের জন্য ক্যান্টিনের যাবতীয় রান্নাবান্না। কী নেই সেই সবজির তালিকায়? আলু, পিঁয়াজ, রসুন, উচ্ছে, মুলো, ব্রোকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, বেগুণ, শিম। প্রতিদিন সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে কোদাল হাতে তাঁকে সবজির বাগানে কাজ করতে দেখেন এলাকাবাসী। তারপর আবার ডিউটি। আর যেদিন ছুটি পান সেদিন তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকেন সেই সবজির ক্ষেতে। এহেন ব্যক্তিটি হলেন উত্তরবঙ্গের(North Bengal) দক্ষিণ দিনাজপুর(Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট(Balurghat) মহকুমার হিলি থানার(Hilli PS) IC গণেশ শর্মা(Ganesh Sharma)। এখন তিনিই জেলাবাসীর কাছে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছেন।

আরও পড়ুন রেলশহর আদ্রাকে পুরসভা করার দাবিতে চিঠি নবান্নে

জানা গিয়েছে, হিলি থানা চত্বরেই থাকা প্রায় ১ বিঘা মতন পরিত্যক্ত জায়গা সংস্কার করে ২০ ধরনেরও বেশি সবজি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গণেশবাবু। হিলি এলাকার উর্বর পলিমাটিতে সামান্য গোবর সার ব্যবহার করেই ব্যাপক ফলন হয়েছে গণেশবাবুর এই ক্ষেতে। আলুর ফলন দেখে সকলেই অবাক। IC’কে কাজে সহযোগিতা করছে সিভিক ভলান্টিয়াররাও। সকাল হতেই IC বাগান থেকে সবজি তুলে চলে যাচ্ছেন ক্যান্টিনের রান্না ঘরে। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করায় সবজির স্বাদ বাজারের থেকে অনেকটাই আলাদা। ক্যান্টিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি উপহার স্বরূপ পুলিশকর্তাদের বাড়ির হেঁসেলেও পৌঁছে যাচ্ছে সেই সব সবজি। সীমান্তবর্তী হিলি এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে থানার বাগানে সবজি চাষে IC’র এমন ভূমিকায় অবাক হিলির বাসিন্দারাও।     

আরও পড়ুন কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ শুভদীপের, FB দেখলে চমকে যাবেন

এই প্রসঙ্গে গণেশ শর্মা জানিয়েছেন, ‘জৈব পদ্ধতি চাষ এখন খুবই কম হয়। আগে অনেকে বাড়িতে ছোট বাগানে শুধুমাত্র গোবর সার দিয়ে চাষ আবাদ করতেন। এখন আমরা বাজার থেকে যে সবজি কিনছি, সব রাসায়নিক সার দিয়ে তৈরি। থানার আবাসনে অনেকটা জায়গা পরিত্যক্ত ছিল। সেই জায়গা সংস্কার করে সবজি চাষ শুরু করি। পুরো জৈব পদ্ধতিতে চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আমাদের ক্যান্টিনে প্রতিদিন ৩০ জনের বেশি খাওয়া দাওয়া করেন। আমরা এখন বাজার থেকে কোনও সবজি কিনি না। নিজেদের বাগানের সবজি দিয়ে ক্যান্টিনের রান্না হয়।’ কিন্তু পুলিশের চাকরি মাত্রই বদলির চাকরি। আজ না হোক কাল গণেশবাবুরও বদলির অর্ডার আসবে। তখন এই সবজির ক্ষেত কে দেখবে? এই প্রশ্নটাও কিন্তু লোকের মুখে মুখে ঘুরছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নেই কদর, নেই সম্মান, অসীমের পাশে নেই মতুয়া মহাসঙ্ঘ

‘অমিতাভ বচ্চন আর শত্রুঘ্ন সিনহার ভারত রত্ন পাওয়া উচিত ছিল’ অভিমত মমতার

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না, আশ্বাস অভিষেকের

কাঞ্চনের সঙ্গে কল্যাণের ব্যবহার  নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীময়ী  

‘পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখবে’, কটাক্ষ অভিষেকের

‘খলিস্তানি বলার প্রতিবাদ করেননি কেন’, আলুওয়ালিয়াকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর