নিজস্ব প্রতিনিধি ,টাকি: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টাকিতে দু দেশের সীমান্ত রক্ষী ফ্ল্যাগ মিটিং , আলিঙ্গন ও মিষ্টি মুখের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হল বিসর্জনের দিনক্ষণ। ইছামতিতে দুই বাংলার বিসর্জন ইউনেস্কোর হেরিটেজ ঘোষণার আবেগে ভাসছে টাকি পৌরসভা।সম্প্রীতির এক অনন্য মেলবন্ধন শতাব্দী প্রাচীন ইছামতির বুকে দুই বাংলার বিসর্জন আবেগ ভাসছেন পর্যটক থেকে দর্শনার্থীরা সকলেই।বসিরহাট মহাকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের টাকির প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে ইতিমধ্য রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন্ন এমনকি বিদেশি পর্যটকরাভিড় জমাচ্ছেন। দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হোটেল গুলোই ইতিমধ্যে বুকিং শেষ হয়ে গেছে। তিল ধাড়ানোর জায়গা নেই। আজ ইছামতি নদীর(Ichamoti River) বক্ষে জিরো পয়েন্টে বসিরহাট পুলিশ জেলা, টাকি পৌরসভার(Taki Municipality) উদ্যোগে বিএসএফ(BSF) বিজিবি (BGB) যৌথ ফ্লাগ মিটিং করা হয়।
সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে দুই বাংলার প্রতিমার নিরাঞ্জন হবে ২৪ অক্টোবর ।ইছামতির বক্ষে দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে নৌকায় নিয়মনিতি মেনে জমিদার বাড়ি ও বারোয়ারী ক্লাবগুলো ঠাকুরের নৌকা নামবে জলে ।দর্শনার্থীরা কিন্তু কেউ আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করবে না ।দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে ইতিমধ্যে বৈঠক হয়েছে। ছিলেন টাকি পৌরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় ,ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী, হাসনাবাদ এসডিপিও(SDPO) দেবরাজ ঘোষ ,আইসি(IC) কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বিএসএফের পক্ষ থেকে ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার দালজিত কুমার , বাংলাদেশের বিজিবি অর্থাৎ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে টু আই সি আধিকারিকরা । এদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় আগামী মঙ্গলবার ২৪ শে অক্টোবর মঙ্গলবার নির্দিষ্ট দিনে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন হবে।
আন্তর্জাতিক আইন মেনে দর্শনার্থীদের এবং ঠাকুরের নৌকা জিরো পয়েন্ট বরাবর সীমান্ত অতিক্রম না করে প্রতিমা নিরঞ্জন করবে।ইতিমধ্যে টাকির ঘাট গুলোকে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে টহল শুরু করেছে। কোনভাবে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে ।পাশাপাশি অনুপ্রবেশের উপর নজর রাখবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।এর পাশাপাশি ইছামতির বিভিন্ন ঘাট গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিএসএফ ও পুলিশ থাকবে। মেডিকেল টিম ,স্বাস্থ্য কর্মী ও পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে। কোন অঘটন যাতে না ঘটে ইতিমধ্যে টাকি পৌরসভা বসিরহাট পুলিশ জেলা বিএসএফ চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করেছে। টাকিতে ইছামতি নদীর বিসর্জন ইতিমধ্যে ইউনেস্কো হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। তাই এই বিসর্জনে এক অন্য আবেগ ও সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে।