নিজস্ব প্রতিনিধি: নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে শিবপুর আইআইইএসটি (IIEST)। সেখানে বলা হয়েছে হস্টেলে (Hostel) না থাকলেও দিতে হবে বকেয়া ফি! বলা হয়েছে, প্রথম সেমিস্টারের কোনও পড়ুয়ার আবেদনের ভিত্তিতে যদি হস্টেল বরাদ্দ হয়ে থাকে তাহলে তাঁকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেই ফি (Fees) দিতে হবে। আর তা না করতে পারলে ধার্য করা হবে জরিমানা। মানে, পরীক্ষায় বসার আগেই মেটাতে হবে বকেয়া ফি। প্রসঙ্গত, প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস ও পরীক্ষা সমস্ত কিছুই অনলাইনে। তবে হস্টেলে না থাকলেও তাঁদের জমা দিতে হবে বকেয়া ফি। এও বলা হয়েছে, দ্বিতীয় সেমিস্টারের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ হস্টেলে তাঁরা ঢুকতে পারবেন ক্লাস শুরু হওয়ার একদিন আগে। ২৫ তারিখ শুরু হবে দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস। মানে তার ঠিক একদিন আগে ২৪ তারিখ পাওয়া যাবে প্রবেশাধিকার।
প্রথম সেমিস্টারের অনলাইন পরীক্ষা পরীক্ষা হবে ১৮-২২ এপ্রিল। তাঁরা এখনও পাননি হস্টেল। এদিকে পড়ুয়াদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্যাম্পাসে পঠনপাঠন শুরু করতে বলেছিল জরুরি ভিত্তিতে। তারও আগে এই রাজ্যে ক্যম্পাস খোলার কথা বলা হয়েছিল ৩ এপ্রিল। অথচ নির্দেশিকা থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় সেমিস্টারের কালস শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল।
এই নির্দেশিকা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের চিফ ওয়ার্ডেন সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। আর তা ঘিরেই শিক্ষক, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রথম সেমিস্টারে যোগ্যতার ভিত্তিতে বরাদ্দ হস্টেলের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। যারা আবেদন করে হস্টেল পেয়েছিলেন তাঁদের প্রবেশাধিকার ছিল কী ছিল না সেটা বিবেচ্য নয়। তবে মিটিয়ে দিতে হবে সমস্ত বকেয়া ফি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না মেটালে দিতে হবে জরিমানা। না হলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। পড়ুয়াদের (Students) পক্ষ থেকে প্রশ্ন, প্রবেশাধিকার না মিললেও কেন বরাদ্দ ফি দিতে হবে? আর সেই ফি বকেয়া হয় কী করে? কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের প্রশ্ন, আগে থেকে নির্দেশিকা না দিয়ে এভাবে হঠাৎ টাকা চাইতে পারে কোনও জাতীয় প্রতিষ্ঠান? তাঁদের সাফ বক্তব্য, প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা দ্বিতীয় সেমিস্টার থেকে হস্টেলে থাকবে। সেই টাকা নিক কর্তৃপক্ষ কিন্তু প্রথম সেমিস্টারে না থাকলেও কেন টাকা চাওয়া হবে? অবশ্য এই প্রসঙ্গে কোনও স্বচ্ছ উত্তর মেলেনি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। তাঁদের সাফ জবাব, নির্দেশিকা মান্তেই হবে পরীক্ষা দিতে গেলে।