নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার আশুতোষ কলেজের(Ashutosh College) কয়েকজন পড়ুয়া গিয়েছিল ওড়িশার(Odisha) কেওনঝড়ে(Keonjhar)। বাড়িতে সবাই জানিয়েছিল, কলেজ থেকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই দলে ছিলেন হুগলি(Hooghly) জেলার আরামবাগ(Aarambag) পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জিপাড়ার বাসিন্দা এক পড়ুয়া তারাশঙ্কর সরকার। আশুতোষ কলেজ থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছে তারাশঙ্কর। তাই কলেজ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুনে সেভাবে বাধা দেননি পরিবারের কেউ। রবিবার তারা রওয়ানা দেন কেওনঝড়ের পথে। বৃহস্পতিবার তাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, সেদিনই ফেরার তারাশঙ্করের পরিবারের কাছে খবর আসে, কেওনঝড়ে একটি জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে প্রায় ২০ ফুট উঁচু থেকে পড়ে নিখোঁজ(Student Missing) হয়ে গিয়েছে তারাশঙ্কর। সেই খবর পেয়ে এদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালেই কেওনঝড়ে পৌঁছে যায় তারাশঙ্করের দাদা ও দুই কাকা। এখন তাঁদের অভিযোগ, ‘দুর্ঘটনা নয়, ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে তারাশঙ্করকে’।
কেন এই অভিযোগ? তারাশঙ্করের পরিবারের দাবি, তাঁদের জানানো হয়েছিল কলেজ থেকে ঘোরাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কলেজে গিয়ে তাঁরা জেনেছেন, সেইরকম কোনও ঘোরানোর ব্যবস্থাই হয়নি। কাউকে কোথাও নিয়ে যাওয়াও হয়নি। কলেজের পক্ষ থেকে কোনও রকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, জলপ্রপাতের সামনে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তুলতে গিয়ে এক ছাত্র পড়ে যান। একই ভাবে জলপ্রপাতে পড়ে যান তারাশঙ্করও। প্রায় ২০ ফুট নীচে পড়ে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। অপর ছাত্রের খোঁজ মিললেও এখনও তারাশঙ্করের কোনও খোঁজে পাওয়া যায়নি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। শুরু হয় তল্লাশিও।
কিন্তু ঘটনাস্থল মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা বলে সন্ধ্যার পর উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার নতুন করে কোনও তল্লাশি করা হচ্ছে না। কেওনঝড়ের পুলিশের কাছ থেকেও তাঁরা সেভাবে কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না। শুধু এটাই নয়, তারাশঙ্করের দাদার দাবি, ‘তারাশঙ্করের আগে আরও একটি ছাত্র জলপ্রপাতে পড়ে গিয়েছিল। তার কিছু হল না। অথচ ও নিখোঁজ হয়ে গেল কী ভাবে? ঘটনার নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা দুর্ঘটনা নয়, ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে তারাশঙ্করকে। আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’