নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চন্দননগরের পর জগদ্ধাত্রী পুজোর খ্যাতি রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের। প্রতিবছরের মত এবারও ধুমধাম করে পুজো হচ্ছে অশোকনগরে। এক কথায় অশোনগরকে বলা হয় মিনি চন্দননগর। পুজোর পাঁচ দিন উৎসবের আনন্দে মাতেন দর্শনার্থীরা। পুজোর কটা দিন কয়েক লক্ষ দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশের পাশাপাশি অশোকনগর পুরসভাও তৎপর। দর্শনার্থীদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে অশোকনগর পুরসভা।
হরিপুর মোড় থেকে কল্যাণগড় পর্যন্ত ছয় বর্গকিলোমিটার অঞ্চল জগদ্ধাত্রী পুজোর হটস্পট। এখনে ৬০টির মতো পুজো হয়। তার মধ্যে কল্যাণগড়েই হয় ৩০টি পুজো। বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে ১৯টি। ।এছাড়াও পুজো প্যান্ডেল থেকে শুরু করে মেলা প্রাঙ্গণ সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাতে দেখা যায় এসডিপিও হাবরা রোহেত শেখ এবং অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাখোহরি ঘোষ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের।
এমনকি বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেও অশোকনগোরের এই জগদ্ধাত্রী পুজোতে দেখা যায়। প্যান্ডেলের পাশাপাশি এই পুজো ময়দানে মেলাকে ঘিরে বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা যায় মানুষের। ইতিমধ্যেই বসে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান। অশোকনগরের ক্লাব উদ্যোক্তারা জানিয়েছে, ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুজোর অনুমতি রয়েছে। ফলে অশোকনগর ও কল্যাণগড়ের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে মানুষের ঢল বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।