এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের অফিসারদের সমালোচনায় রাজ্যপাল 

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বাংলার বিধানসভা ভবন চত্বরে বাবা সাহেব আম্বেদকারের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে চূড়ান্ত ‘অসৌজন্যতা’র নিদর্শন গড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন তিনি এদিন রাজ্য বিধানসভা ভবন চত্বরে থাকা দেশের সংবিধানের জনক বাবা সাহেব আম্বেদকারের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানাবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে দীর্ঘক্ষণ রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের আফিসার, বিধানসভার অধ্যক্ষদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চূড়ান্ত ‘অসৌজন্যতা’র নিদর্শন গড়লেন। একই সঙ্গে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্বকে আরও বড়িয়ে তুললেন।

এদিন রাজ্যপাল প্রথমেই আক্রমণ শানেন রাজ্যের অফিসারদের লক্ষ্য করে। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের অফিসাররা সংবিধান মেনে চলছেন না। অফিসাররা জানেন না, রাজভবন কী করতে পারে। আমি বহুবার অফিসারদের বলেছি, সংবিধানের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করুন। রাজ্যপাল ডাকলেও মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজভবনে আসেন না। বার বার তথ্য চেয়েও পাওয়া যায় না। এটা কোন ধরনের সংস্কৃতি। এখানে আইনের শাসন চলে না, শাসকের আইন চলে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়ানক, ভয়াবহ। রাজ্যপাল হিসাবে আমি চিন্তিত। আমি অনেক চেষ্টা করেছি রাজ্যের শাসনব্যবস্থা, রাজ্যের প্রশাসন সংবিধান অনুসারে চলুক। আইন মেনে কাজ করুক। কিন্তু সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের নিয়ম ভুলে গিয়েছেন। সাংবিধানিক মর্যাদা ভুলে গিয়েছেন। সংবিধানের সঙ্গে দূর দূরান্ত অবধি তাঁদের কোনও সম্পর্কই নেই। আগুন নিয়ে খেলছেন তাঁরা। একটি ফাইলও আটকে রাখা হয়নি। আমি প্রশ্ন করেছি। কোনও জবাব আসেনি। কোনও হাওড়া বিল ফাইল আমি আটকে রাখিনি। প্রশ্ন করেছি। হিউম্যান রাইটস সংক্রান্ত কোনও ফাইল আমি আটকে রাখিনি, আমি প্রশ্ন করেছি। কিন্তু জবাব পাইনি। আমি অর্থ দফতরকে প্রশ্ন করেছি। তারা কোনও জবাব দেয়নি। শেষ মুহূর্তে এসে সই করে দিতে বললে হবে না। সময় দিতে হবে। আমি সবটা খতিয়ে দেখব। আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পরই আমার করণীয় করব।’

এরপরেই রাজ্যপাল সরব হন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে। বলেন, ‘বার বার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলেও তা রাজ্যপালকে দেওয়া হয়নি। দু’বছরের বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী কোনও তথ্য দেননি। এগুলো সংবিধান কি মান্যতা দেয়? সংবিধান মোতাবেক উনি তো তথ্য দিতে বাধ্য। অণ্ডাল বিমানবন্দর, অতিমারি, গ্লোবাল বিজনেস সামিট, মা ক্যান্টিন, স্পোর্টস ক্লাব নিয়ে আমার কাছে রিপোর্ট এসেছে এগুলোয় দুর্নীতি হয়েছে। প্যানডেমিক পারচেস নিয়ে কে তদন্ত শুরু করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী! কোথায় রিপোর্ট? তাই আমি ফাইল আটকে রাখি এ কথা বলে লাভ নেই।’ রাজ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন রাজ্যপালের এহেন আচরণকে ‘চূড়ান্ত অসৌজন্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তীব্র দাবদাহ থেকে পুলিশ আধিকারিকদের বাঁচাতে হাওড়া সিটি পুলিশের বিশেষ কিট প্রদান

কার ভোটে সুমিতা থাবা বসাবেন, হিসাব কষছে দুই ফুলই

ফের তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে অধীর, এবার নওদায় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান

বিষ্ণুপুর শিল্পতালুকে বন্ধ কারখানা কিনে তা চালু করছে টাটারা

ডাউন ব্যান্ডেল লোকালে আগুন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর