নিজস্ব প্রতিনিধি: স্নিগ্ধা দত্ত নামে এক শিক্ষিকা অসুস্থ। বদলি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC)। তাতে কাজ না হওয়ায় দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতের। আদালতের নির্দেশ ছিল, ৩ মাসের মধ্যে বদলি করতে হবে ওই শিক্ষিকাকে। তবে তা হয়নি। এরপরেই মঙ্গলবার আদালতের (HIGH COURT) নির্দেশ, আগামিকাল বিকেল ৩ টের মধ্যে ওই শিক্ষিকার বদলির সুপারিশ পত্র দিতে হবে।
মামলাকারী শিক্ষিকার বাড়ি বর্ধমান। চাকরি করেন হাওড়ার একটি স্কুলে। তিনি শারীরিক অসুস্থ দাবি করার পরেও হয়নি বদলি। কমিশন না কি জানিয়েছিল, ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে বদলি সম্ভব নয়। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষিকা। জমা দিয়েছিলেন মেডিক্যাল রিপোর্ট। তাঁর অভিযোগ, উপযুক্ত কারণ থাকলেও তাঁর বদলি হয়নি। অথচ তাঁর কাছে প্রমাণ আছে, ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই বদলি হয়েছে অনেকের। এরপরেই আদালতের রায় ছিল, ৩ মাসের মধ্যে বদলি করতে হবে ওই শিক্ষিকাকে। তবে তারপরেও কেটে গিয়েছে ৩ মাস। হয়নি বদলি।
সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি (JUSTICE) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট আছে। তাই বদলি করতেই হবে। দিতে হবে সুপারিশ পত্র। আগামিকাল দুপুর ৩ টের মধ্যেই দিতে হবে সুপারিশপত্র।
এদিন শুনানির সময় কমিশনের আইনজীবী বলেন, ৫ বছরের আগে বদলি হওয়ার কোনও নিয়ম নেই। তা শুনেই বিচারপতি বলেন, অসুস্থ শিক্ষিকা বদলি হলে কোন নিয়মে তা আটকায়? তারপরেই বিচারপতির নির্দেশ, এতদিনেও অসুস্থ শিক্ষিকার বদলি কার্যকর হয়নি, তাহলে আদালত অবমাননার মামলা কেন দায়ের করা হবে না, তা চেয়ারম্যানকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিয়ে জানাতে হবে। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার মধ্যে হাজিরা দিতে হবে চেয়ারম্যানকে। বিচারপতি বলেন, আগামিকাল দুপুর ৩ টের মধ্যে ওই শিক্ষিকাকে সুপারিশ পত্র না দেওয়া হলে শোকজ করা হবে চেয়ারম্যানকে। শুনানির সময় বিচারপতি বলেন, ‘গোলি মারো রুল কো। মেডিক্যাল বোর্ড বলছে অসুস্থ। তারপরেও ভুলের কথা বলছেন?’