নিজস্ব প্রতিনিধি: জনপ্রতিনিধিদের কয়েকজনের জন্য মার খাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প। এমনটাই বললেন বিচারপতি (JUSTICE) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিরস্কার করলেন পঞ্চায়েত প্রধানকে। উল্লেখ্য, হুগলীর জিরাটের একটি স্কুল নিয়ে মামলার শুনানি ছিল এদিন। আগামিকাল ফের শুনানি এই মামলার।
জিরাটের চর খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তলিয়ে যাওয়ার মুখে, গঙ্গা নদী ভাঙনের ফলে। বিচারপতি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সেই বিদ্যালয় সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিক্ষা দফতরের বিশেষ আধিকারিকরা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। বিশেষ আধিকারিক সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতে রিপোর্ট দেওয়ার সময় তাঁরা জানান, ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্র বিরল চর্ম রোগে আক্রান্ত। পেশ করা হয় পড়ুয়ার ছবিও। তবে কী রোগ তা বলতে পারেননি কেও।
এরপরেই বিচারপতি পঞ্চায়েত প্রধানকে প্রশ্ন করেন, ওই পড়ুয়ার মা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান কি না। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি পঞ্চায়েত প্রধান। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, এই সামান্য খোঁজ টুকুও কেন রাখেন না? শুধু ভোটের সময় বাড়ি বাড়ি যান? বলেন, এই পঞ্চায়েত প্রধানের মত একাংশ জনপ্রতিনিধিদের জন্যই মার খায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত জনমুখী প্রকল্প। এরপরেই বিচারপতি প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন, শিশুর চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দেশ দেন, রোগে আক্রান্ত শিশুর মা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান কি না, তা জেনে দ্রুত রিপোর্ট পেশ করার। অন্যদিকে তাঁর নির্দেশ, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। নির্দেশ, আগামিকালের মধ্যে বিদ্যালয় ভবন খালি করে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার।