নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার এসেছিল দাপুটে কালবৈশাখী (Kalbaishakhi)। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে তাণ্ডব চালাল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। গাছ, তার, বিদ্যুতের খুঁটি উল্টে পড়ে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হয় বিপর্যস্ত। ভুগতে হচ্ছে জল কষ্টে। পরিস্থিতি ও পরিষেবা স্বাভাবিক করতে তৎপর প্রশাসন।
সতর্কতা ছিল আগে থেকেই। শনিবারের প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয় কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। কালো মেঘ দুপুরেই নামিয়েছিল আঁধার। আর প্রবল ঝড়ে উড়ে যায় একাধিক মানুষের বাড়ির চাল, বেড়া। তীব্র ঝড়- বৃষ্টির প্রকোপ পড়েছে জমিতেও। ঝড়ের ফলে ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। ফলে ঘাটালে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়। বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন বলেই অভাব পরিশুদ্ধ পানীয় জলের। চন্দ্রকোনা- ২ ব্লকের নীলগঞ্জ, পিয়ারডাঙা সহ একাধিক গ্রাম বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ায় ভোগান্তিতে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা।
ঝড়- বৃষ্টির পূর্বাভাস পেতেই তা শুরুর আগে দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electric Service) বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। তবে প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে ছিঁড়ে যায় তার, উপড়ে যায় ইলেক্ট্রিক পোস্ট। যার ফলেই বিপর্যস্ত পরিষেবা।
মহকুমা শাসক (SDO) সুমন বিশ্বাস বলেন, মহকুমা জুড়ে একই ছবি। তবে চন্দ্রকোনায় প্রভাব বেশি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।