নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। যা গঙ্গার ভাঙনের থেকেও দ্রুততার সঙ্গে চলছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। একুশের বিধানসভা ভোটে ৭৭ আসনে জিতে এলেও বর্তমানে তা অনেকটাই কমেছে। একে একে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল শিবিরে চলে আসছেন নব নির্বাচিত বিধায়ক। বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও সম্প্রতি তৃণমূলে চলে এসেছেন। শুক্রাবারই বিজেপি ছাড়ার কথা শোনালেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও। এবার বঙ্গ রাজনীতির জল্পনায় উঠে এল আরেকটি নাম। তিনি খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক অভিনেতা হিরণ।
একুশের ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। টিকিট পেয়ে খড়গপুর সদর আসনে জিতেও আসেন। কিন্তু তাল কেটেছিল তার পর থেকেই। খড়গপুরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে আকাশছোঁয়া। দুজনের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। এমনকি দলের কোনও অনুষ্ঠানেই আসছেন না বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়। ফলে তাঁর দলত্যাগ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
যদিও তাঁকে আদৌ দলে নেওয়া হবে কিনা সেটা নিয়ে দ্বিধাভিগক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কেউ কেউ অবশ্য জানিয়ে দিচ্ছেন হিরণ তৃণমূলে ফিরতে চাইলে তাঁকে নেওয়া হবে না। এই ব্যাপারে শাসকদলের রাজ্য নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি। তবে খড়গপুরের বিজেপি নেতারা অবশ্য মনে করছেন দল ছাড়বেন না অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়। হিরণ নিজেও কোনও মন্তব্য করেননি। যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁর বিজেপি গমন। বর্তমানে চাপে পড়া বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পরামর্শ দিয়েছেন বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করে সমস্য়া সমাধানের জন্য। দিলীপ ঘোষকেও সরিয়ে দিয়ে তাঁর জায়গায় নতুন রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে শুকান্ত মজুমদারকে। এখন দেখার তিনি বিজেপির ভাঙন ঠেকাতে কতটা সফল হন।