নিজস্ব প্রতিনিধি: দিলীপ ঘোষকে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে বসানো হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। বালুরঘাটের সাংসদকে বিজেপির রাজ্যের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই দায়িত্ব কতটা সামলাতে পারবেন তাই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়কের। এমনিতেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সময় দিয়েছেন। হয়ত খুব শীঘ্রই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসবেন তিনি। আর তার আগেই দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেই চলেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। আজও তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার মতে নতুন রাজ্য সভাপতি তেমন পরিণত মস্তিষ্কের নন। তিনি কী ভাবে বঙ্গ বিজেপি-কে সামলাবেন, তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। তাঁর বদলে যদি কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তি এই পদে আসতেন, তাহলে ভালো হত।’
কিছুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের কাজ করা থেকেও বিরত থাকার কথা জানান। কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়েছেন, ‘রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রায়গঞ্জের মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসায় আমি রায়গঞ্জ থেকে বিজেপি’র বিধায়ক হয়েছি। দেবশ্রী চৌধুরীর মতে, উনি নাকি রাজ্যে বিজেপি’র ভাবী মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। তাই রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন উনি। তা না হওয়ায় সমানে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।’ এর মাঝেই আসানসোলের সাংসদ বাবুলের ফুল বদলের ফের দলের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন রায়গঞ্জের বিধায়ক।
তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন দলকে সময় দিচ্ছি। নাহলে আমিও ভাবব। দলবদল প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘কথাবার্তা চলছে। খুব শীঘ্রই একটা সিদ্ধান্তে আসব।’