নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: নবান্নের ছাড়পত্রে অবশেষে রাজ্য়ে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই ছুটতে পারবে লোকাল ট্রেন। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি যাত্রীরা। কিন্তু রাজ্যের সমস্ত জায়গায় ৩১ অক্টোবর থেকে ট্রেন চালানোর বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও আশ্চর্যজনকভাবে ঝাড়গ্রাম জেলায় কোনও লোকাল ট্রেন চলছে না আজও। ফলে চরম সমস্য়ায় পড়লেন এই জেলার বাসিন্দারা। জানা যাচ্ছে, খড়গপুর-টাটা রেল লাইনের মধ্যে কোনও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি। যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলার মানুষ বঞ্চিত বলে অভিযোগ উঠছে। সোমবার এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়গ্রাম স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন গুলি। তাঁদের দাবি, এই অবস্থান বিক্ষোভে কাজ না হলে রেল অবরোধে সামিল হবেন এলাকাবাসী।
খড়গপুর-টাটা শাখায় গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ঝাড়গ্রাম। এখান থেকে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন ঘড়গপুরে যাতায়াত করতো। খড়গপুর ও টাটার মধ্যে এবং ঝাড়গ্রাম ও সাঁতরাগাছির মধ্যে চলাচলকারী মেমু লোকাল ট্রেনগুলিই ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের মূল ভরসা ছিল লকডাউন পূর্ববর্তী সময়ে। ফলে লোকাল ট্রেন চালুর সবুজ সঙ্কেত আসার পর আশার আলো দেখেছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল এই শাখায় কোনও লোকাল ট্রেন চালু করা হচ্ছে না। এরই প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম স্টেশনের সামনে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিটু ও এ আইটিইউসি-র পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
তাঁদের দাবি, লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যদি তাঁদের দাবি না মানা হয় তাহলে তাঁরা বাধ্য হবে রেল অবরোধ করতে। অপরদিকে লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দা যেমন হতাশ হয়ে পড়েছেন, তেমনই হতাশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কেন এই শাখায় লোকাল ট্রেন চালু করা হল না সে সম্পর্কে কিছুই জানায়নি দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রাও বলছেন, অবিলম্বে ট্রেন না চালালে এবার তাঁরাও বড় আন্দোলনে নামবেন।