নিজস্ব প্রতিনিধি, কালিয়াচক: মালদার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কালিয়াচক থানার নওাদা ও চরিঅনন্তপুর এলাকায় রাতের অন্ধকারে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে চোরাচালান চলছে। একাধিক চোরাচালান চক্র মাদক কাপ সিরাপ এবং মোবাইল পাচার করছে বাংলাদেশে(Bangladesh)। বিএসএফের(BSF) চোখের সামনে চলছে এই চোরাকারবার, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন সোর্স মারফত খবর পাওয়ার পর অভিযান চালালে প্রচুর পরিমাণে উদ্ধার হয় মাদক কাফ সিরাপ ফেনসিডিল ও নামি দামি কোম্পানির মোবাইল। এক পাচারকারীকে আটক করা হয়।
তাকে কালিয়াচক থানার অফিসাররা নিজেদের হেফাজতে নেয়।
উদ্ধার হয়েছে ২৭২ বোতল ফেনসিডিল ও নামিদামি কোম্পানির ৬৭ টি মোবাইল। তবে যখন এই অভিযান চালানো হয় সেই সময় বাকি চোরা পাচারকারীরা পালিয়ে যায় । সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলের মধ্যে থেকে প্রশাসন বিভিন্ন ছোট ছোট বাক্সে উদ্ধার করে মোবাইল ফোন(Mobile Phone) ও ফেনসিডিল সিরাপ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিএসএফ তাদের এলাকা নজরদারি করার কাজে থাকলেও অনবরত এই চোরাকারবার চলছে দিনে দুপুরে, শুধু তাই না বিএসএফ তাদের এলাকার এক্তিয়র বাড়ালেও এই চোরাকারবারিদের রুখতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
গরু পাচারের বদলে এখন এই ধরনের চোরাকারবারীদের তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে তিন গুণ।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই চোরাচালান রুখতে মাঝে মধ্যেই দুই দেশের প্রশাসনের মধ্যে হয় শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা। যেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই সেই সব এলাকায় দ্রুত কাটা তারের বেড়া লাগানোর পাশাপাশি, নজরদারি জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় । শুধু তাই নয়, সীমান্তে চোরাচালানো(Smuggling) ও অপরাধ রুখতে বিএসএফের নজরদারির এক্তিয়ার বাড়ানো হয়। কিন্তু তারপরেও এই চোরাচালান কোন এক অজ্ঞাত কারণে কিছুতেই রোখা সম্ভব হচ্ছে না।