এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রেফারকাণ্ড ও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাস্থ্য দফতরের(Health Department) পর্যালোচনা বৈঠকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সোমবার দুপুরে নবান্নে(Nabanna) স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি প্রশ্ন তোলেন রেফারের ঘটনা নিয়ে। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন প্রসূতর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে। কিছুদিন আগে জেলা থেকে রেফার করা এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ও রবিবার রাতে কলকাতার এক বৃদ্ধার রেফারের ঘটনা নিয়ে যে তিনি বেশ ক্ষুব্ধ সেটাই এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দফতরের আধিকারিকদের সোজাসুজি প্রশ্ন করেন তিনি, ‘কেন একজন প্রসূতিকে জেলা থেকে কলকাতায় রেফার করা হল? তাঁর মৃত্যুর দায়ভার তাঁকেই নিতে হবে যে রেফার করেছে। কেন এই ঘটনা ঘটবে? কেন একজন প্রসূতিকে হাসপাতলে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হবে?’

আরও পড়ুন ৩ হাসপাতাল ঘুরে স্ট্রোকের রোগী মঞ্জু ফিরলেন বেহালার বাড়িতে

উল্লেখ্য ২০১১ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তখন রাজ্যের স্বাস্থ্যচিত্র নিদারুণ করুণ। জেলায় জেলায় না ছিল কোনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল না ছিল স্বাস্থ্যসাথী(Sasthasathi) কার্ডের সুবিধা। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলি কার্যত নরককুণ্ড হয়ে ছিল। সেই ছবি যে মমতার আমলে অনেকটাই বদলে গিয়েছেন তা অতিবড় বিরোধীরাও স্বীকার করেন। রাজ্যে এখন একাধিক স্বাস্থ্য জেলা রয়েছে, তৈরি হয়েছে ৩০টিরও বেশি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। প্রতিটি জেলায় রয়েছে একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সব থেকে বড় কথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এখন রাজ্যবাসী বিনামূল্যে চিকিতসা পরিষেবা পাচ্ছেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে। এর পরেও জেলা থেকে কলকাতায় রোগী রেফার করার সংখ্যা আগের তুলনায় কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। এদিন সেই ঘটনা ঘিরেই নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন শুভেন্দু নিজে আগে ক্ষমা চান, সরব বীরবাহা

এদিন মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই আক্রমণ শানান মুখ্যসচিব থেকে স্বাস্থ্য দফতরের সচিবদের লক্ষ্য করে। মুখ্যসচিবকে(Chief Secretary) যেমন বলেন, ‘কখনও আপনারা সারপ্রাইজ ভিজিট করেছেন? কখনও বাজারে যান। কখনও হাসপাতালে যান। আমাদের যেন গাফিলতি না হয়। গাফিলতি একটা অপরাধ। এটা অবিলম্বে আমাদের সংশোধন করেছি।’ এরপরেই স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কি রেফার করা বন্ধ করবেন! গর্ভবতী মহিলাকেও রেফার করছেন। তারপর তারা গাড়ি জার্নি করে অন্যত্র এসে হাসপাতালে ভর্তি করতেই মৃত্যু হচ্ছে। কেন এটা হচ্ছে! এর দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। যদি এরকম হয়, তাহলে যে রেফার করেছে তাকে যে মারা গিয়েছে তার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে ভিডিয়ো কলে জেলা হাসপাতালের সুপারের সাহায্য নিতে হবে।’

আরও পড়ুন কামদুনি কাণ্ডে ৬ অপরাধীর সাজা মকুবের আবেদন, শুনানি ডিসেম্বরে

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির ক্ষেত্রে ঠিক কী কী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকছি। সদর্থক চিন্তা করতে হবে। ডাক্তার অবসর করলেও আমরা রিঅ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে রেখে দিই। আমাদের ৬০০ আসন বেড়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মান আরও উন্নত করতে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্তরে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ১০ হাজার ১৭৩টি এবং ২৫-২৬ সালের মধ্যে ১৬ হাজার ৬১৬টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হবে। ৪ হাজার ৪৬১টি ইতিমধ্যে অনুমোদিত এবং ২ হাজারের বেশি চালু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য আরও লোকের দোরগোড়ায় পৌঁছবে। বিনামূল্যে আউটডোর পরিষেবা, বিভিন্ন পরীক্ষা করা হবে। এখনও পর্যন্ত যা আছে, ১০ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি আউটডোরে উপকৃত হয়েছে।এনসিডি আরও উন্নত করতে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথীকে ৮ কোটি ৪৩ লক্ষ মানুষ নথিভুক্ত, প্রায় আড়াই হাজার হাসপাতালে পরিষেবা মিলছে। এখনও ৪৩ লাখ মানুষকে ৫ হাজার কোটি টাকার পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথীর আলাদা পোর্টাল খোলা হয়েছে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পরবর্তী দু’দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে, জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

১৯ মে নাগাদ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করছে বর্ষা: আবহাওয়া দফতর

অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে ভরে ভোট আটকানো যাবে না, প্রমাণ করল জনতা: শতাব্দী রায়

লেশমাত্র টেনশন নেই, ভোটের দিন দেদার নিজস্বী তুলে সময় কাটালেন মহুয়া

নদিয়ায় ইভিএম বিভ্রাট, সব ভোট নাকি পড়ছে বিজেপিতে, তুমুল উত্তেজনা দিনভর

স্মৃতিচারণ থেকে কটাক্ষ, উনিশের সংঘর্ষ থেকে বন্দুকের কারখানা, নোয়াপাড়ায় ছুঁয়ে গেলেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর