এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বর্ধমানের মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতার হুঁকার, ‘বিজেপি বিদায় নাও’

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত বাংলার অগ্নিকন্যার। সোমবার বর্ধমান(Burdhwan) শহরের পাশে থাকা গোদা এলাকায় একটি সরকারি অনুষ্ঠান থেকেই সেই বিজেপিকে লক্ষ্য করে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা থেকে বাংলা আবাস যোজনায় টাকা না দেওয়া, অগ্নিপথ নিয়ে বিতর্ক থেকে শিবসেনাকাণ্ড সব কিছু নিয়েই এদিন বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানেন মমতা। কার্যত বর্ধমানের মাটিতে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন মমতা কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে বিদায় নেওয়ার বার্তা দেন তিনি গেরুয়া শিবিরকে উদ্দেশ্য করে। আর তার জেরে কিছুটা হলেও বিতর্ক বেঁধেছে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেন বিজেপিকে বিদায় নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, এই নিয়ে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘বিজেপি(BJP) কৃষক-বিরোধী। আমিই সর্বপ্রথম বিজেপির কৃষি বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কৃষকরাই আমাদের সম্পদ। তাই কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া চলবে না। যে দায়িত্ব নেবে না, তার ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। শুধু কথা বলা নয়, আমরা কাজটাও করি। কৃষকদের জন্য সিঙ্গুরে ২৬ দিন অনশন করেছি। বিজেপি কৃষক বিরোধী মনোভাব নিয়ে চলে। ওদের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনে সর্বপ্রথম আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিজেপির লোকেরা ১০০ দিনের কাজের(100 Days Work) টাকা গত ৬ মাস ধরে বন্ধ করে দিয়েছে। কত কষ্ট করে ১০০ দিনের লোকের কাজ করে। সংবিধানের নিয়ম হচ্ছে ১৫ দিনের মধ্যে কাজের টাকা দিতে হবে। আমাদের থেকে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা তুলে নিয়ে যায়, তার একটা ভাগ আমরা পাই। এটা ওদের টাকা তা নয়। কিন্তু ৬ মাস ধরে বিজেপি সরকার আমাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। আমরা অবিলম্বে চাই, ১০০ দিনের কাজের টাকা দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও।’

এরপরেই মমতা বাংলা আবাস যোজনায় কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়ার প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। বলেন, ‘বাংলার বাড়ি, বাংলার সড়ক যোজনাতেও টাকা আটকে রেখেছে বিজেপির লোকেরা। আমি সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম, দেখি কী করছে? তা না হলে হয়তো আমাকে দিল্লি যেতে হতে পারে এগুলো সমাধানের জন্য। যে কোনও রাজ্যের নামে বাড়ি থাকবে। গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের নামে যদি থাকে। বাংলায় থাকলে আপত্তি কীসের? নির্বাচনের আগে বাংলায় এসে বড় বড় কথা বলবেন। দল ভাগাভাগি করবেন। তফশিলি, আদিবাসী ভাগাভাগি করবেন। শুধু ভাগাভাগি করবেন আর দাঙ্গা করবেন। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করবেন। বিচ্ছেদের কথা বলবেন। আর বাংলার নাম বলতে গেলে বাংলার নাম বলা হয়েছে কেন বলে প্রশ্ন করবেন? বাংলার রাস্তা, বাংলার বাড়ির টাকা দেওয়া হবে না? ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হবে না? বাংলার বাড়ি চলবে। বাংলার রাস্তা চলবে। একশো দিনের কাজও চলবে।’

মুখ্যমন্ত্রী এদিন সরব হয়েছেন হালের অগ্নিপথ বিতর্ক নিয়েও। বলেন, ‘২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এই অগ্নিপথ প্রকল্প। মাত্র ৪ বছরের চাকরি। তার পর কী করবে ছেলেগুলো? ললিপপ খাবে? কী পাবে? আমরা এর বিরোধিতা করছি। ৪ বছরের চাকরির মধ্যে চার-ছ’মাস তো কেটেই যাবে ট্রেনিং নিতে। সেনাবাহিনীতে অবসরের মেয়াদও বাড়াতে হবে। ৬০ নয়, অবসরের বয়স করতে হবে ৬৫।’ এর পাশাপাশি এদিন মহারাষ্ট্রের ঘটনায় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে(Sanjay Raut) ইডির নোটিস পাঠানো নিয়েও সরব হন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘কেউ কিছু বললেই ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। দেশজুড়ে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। এমনটা কেন হবে? সবাই হাসিখুশি থাকবে। সেটাই তো কাম্য। এমন পার্টি দেখেছেন কখনও? কথা বললেই ইডি-সিবিআই পাঠিয়ে দিচ্ছে। এ ভাবে কখনও দেশ চলে? এ ভাবে কখনও গণতন্ত্র চলে? আজকে মহারাষ্ট্রের এক নেতাকে দেখলাম ইডি নোটিস পাঠিয়েছে। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে। কেন ভয় দেখাবেন? চারিদিকে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। মানুষ এত ভয়ে থাকবেন কেন?’ এখন দেখার বিষয় মমতার এই হুঁকার কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপিকে কোনও ভাবে প্রভাবিত করতে পারে কিনা।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ঘটনাস্থলে ৩ টি ইঞ্জিন

নির্বাচনী জনসভায় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

রবিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

রামনবমীতে অশান্তি, বেলডাঙ্গা ও শক্তিপুরের ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে জরুরি বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর