নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণবঙ্গের পরে এবার উত্তরবঙ্গ(North Bengal)। সেখান থেকেও এবার CAA আর NRC নিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোচবিহার(Coachbehar) জেলার মাথাভাঙায় ছিল তাঁর নির্বাচনী জনসভা। সেই সভা থেকেই তিনি সরব হলেন CAA আর NRC নিয়ে। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘বাংলায় কোনও CAA, NRC হবে না। আমি থাকতে বাংলার কোনও মানুষের গায়ে কেউ হাত দিতে পারবে না। আমাদের যে শক্তি আছে তা ভারতবর্ষের আর কারোর নেই। এবারও দেখবেন বিজেপি প্রার্থীরা বিএসএফের জওয়ানদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাবে। সেই রকম কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআইআর দায়ের করবেন। অভিযোগ নিতে না চাইলে সরাসরি আমাকে জানাবেন।’
এদিন মমতা বলেন, ‘ভোটের আগে আবার ক্যা ক্যা করে চিল্লাচ্ছে। ক্যা-টা হচ্ছে মাছের মাথা। আর ল্যাজাটা হচ্ছে NRC। এখন কী বলছে? পুরোহিত লিখে দিলেই হবে। কোন আইনে আছে? মিথ্যে কথা বলার আর মানুষকে বঞ্চিত করার একটা লিমিট থাকা উচিত। পুরোহিতরা পুজো করেন। পুরোহিতরা বাংলাদেশের। তাদের বাবা – মা বাংলাদেশের। তাদের জন্ম সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। আর যখনই আপনি নাম লেখাবেন, সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি হয়ে গেলেন। অর্থাৎ, আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না, আপনি কন্যাশ্রী পাবেন না, ভোট দিতে পারবেন না। আপনার নাগরিক অধিকার থাকবে না। আপনার সরকারি অধিকার থাকবে না। এটা ভালো না খারাপ, নিজেরা বুঝে নিন। আর যেই ডিটেনশন করবে, আসামে এখনও আছে, ডিটেনশন ক্যাম্প করে রেখে দেবে। পুরোহিতই যদি করতে পারে তাহলে এমপাওয়ারমেন্ট গ্রুপ যেটা করেছো তাতে সেনসাসের লোক কেন রেখেছো? কেন পুরোহিতকে রাখোনি? বুঝতাম তুমি তাকে অধিকার দিলে করবার? কোন অধিকারে মিথ্যে কথা বলছো? কোনও ক্যা, NRC হবে না। বাংলাকে আমরা বাঁচিয়ে নেব। CAA হচ্ছে মাথা আর NRC হচ্ছে ল্যাজা।’
এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘ওরা ইডির নেওয়া টাকা জনতাকে দেবে বলেছে। কত টাকা করে পাবেন বাংলার জনগণ। ২১ টাকা করে। আপনাদের কি ২১ টাকা চাই না কি বাংলাকে বাঁচানো চাই! না কি দেশ বাঁচানো চাই। মনে রাখবেন বাংলাই দেশকে বাঁচাবে। বাংলা ক্ষমতা অনেক। এখানে একটা নতুন মুসলিম পার্টি হয়েছে। যাদের কাজ BJP-র থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে দেওয়া যাতে তৃণমূল জিততে না পারে। কেউ নিজেকে ওই চক্রান্তে দয়া করে জড়াবেন না। নির্বাচনের আগের দিন টাকা দেবে। বলবে ঘর করে দেব। ওসব ফাঁদে পা দেবেন না। কেন্দ্র টাকা না দিলে আমরাই বাড়ি বানিয়ে দেব। ওরা বাংলাকে মানে না। বাংলার টাকা দেয় না। ২০১৯ সাল থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমাদের ১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারটা আমাদের প্রকল্প, বিজেপির লজ্জা নেই নিজের বলে দাবি করছে। ওরা আমাদের প্রকল্প অন্য রাজ্যে চালু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারেনি। পারবে না। ওরা ৪০ শতাংশ মা-বোনকে দেবে। আমরা ১০০ শতাংশ দিই।’