নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সভাপতি এখনও পর্যন্ত যারা হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সব থেকে সফল হলেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। কেননা তাঁর বঙ্গ বিজেপির সভাপতিত্বকালেই এ রাজ্যে বিজেপি উনিশের লোকসভা এবং একুশের বিধানসভায় সব থেকে বেশি আসন জিতেছিল। উনিশের লোকসভায় বাংলা থেকে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। তার মধ্যে ছিল জঙ্গলমহলের ৫টি আসনও। সেই ৫টির মধ্যে ছিল মেদিনীপুরও(Midnapur Constituency)। সেখান থেকে দিলীপ প্রায় ৯০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু একুশের ভোটে সেই মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। বাকি এগরা, দাঁতন, কেশিয়াড়ী, নারায়ণগড়, খড়গপুর গ্রামীণ ও মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল(TMC)। এবারে বিজেপি দিলীপকে আর মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট দেয়নি। পরিবর্তে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। আর দিলীপের জায়গায় বিজেপি প্রার্থী করেছে অগ্নিমিত্রা পালকে(Agnimitra Paul)। এদিন বিজেপির সেই প্রার্থী বদলের প্রসঙ্গে কেশিয়াড়ীর সভা থেকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এদিন কেশিয়াড়ীর সভা থেকে মমতা কারও নাম না নিয়েই কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন বিজেপির দিকে। তিনি বলেন, ‘জুন মালিয়া(June Malia) আমাদের প্রার্থী। তিনি মেদিনীপুর বিধানসভায় পড়ে থেকে কাজ করেছে। তিনি টেলিস্টার, তাঁর মধ্যে নেই কোনও অহংকার। আপনাদের মেদিনীপুরের যিনি সাংসদ ছিলেন তাঁকে সরিয়ে দিতে হল কেন? কেন সরিয়ে দিলেন? কেন তাঁকে আরেকবার প্রার্থী করে যাচাই করলেন না মানুষ গ্রহণ করছেন না করছেন না? RSS-কে আমি ত্যাগী ভাবতাম। ওদের মধ্যে কিছু ভালো লোক ছিল। আজ ভোগ করতে করতে এমন ভোগী হয়ে গিয়েছে যে ত্যাগটা ছেড়ে দিয়েছে। তাই বিজেপি এত অসভ্যতা করছে। যিনি দাঁড়িয়েছেন তিনি সেজে গুজে ঘুরে বেড়াবেন। কাজ করবেন না। জুন মাটির মেয়ে। ও কাজটা করবে। কাকের বাসায় কোকিল ডিম পাড়ে, বড় হলে চলে যায়। আপনারা কেন আগের প্রার্থীকে না দিয়ে অন্য একজনকে নিয়ে এলেন? তাঁর গুণগান আমি করতে চাই না, কারণ আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না। নাহলে প্রশ্ন তুলতে পারতাম।’ একই সঙ্গে মমতা এদিন সভায় উপস্থিত আমজনতাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘আগেরবার সিটটা হেরেছিলাম। এবার সিটটা দেবেন তো?’ জনতা সেই প্রশ্ন শুনে হাততালি দিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানিয়ে ‘হ্যাঁ’ বলে।