নিজস্ব প্রতিনিধি: শেখ শাহজাহান(Sheikh Sahajahan) ও সন্দেশখালি(Sandeshkhali) ইস্যুতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এদিকে দোরে কড়া নাড়ছে লোকসভার নির্বাচন(General Election 2024)। এই পরিস্থিতিতে বসিরহাট লোকসভা(Basirhat Constituency) কেন্দ্র ধরে রাখা কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে জোড়াফুল শিবিরে। সেই আসন ধরে রাখার লক্ষ্যেই যেমন উনিশের ভোটে জেতা তারকা সাংসদকে যেমন এবার আর টিকিটই দেওয়া হয়নি, তেমনি এলাকার ভূমিপুত্র তথা দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা হাজি নুরুল ইসলামকে(Haji Nurul Islam) প্রার্থী করা হয়েছে যিনি ২০০৯ সালেও তৃণমূলের(TMC) হয়ে ভোটে লড়াই করে এলাকার সাংসদ হয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বসিরহাটে জয় সুনিশ্চিত করতে দলের সংগঠন জোরদার করে তোলার পথে হাঁটা দিয়েছে। সেই সূত্রেই চলতি মাসে দোল পূর্ণিমার পরে পরেই বসিরহাটে সভা করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। গতকাল তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলারই হাবড়ায় সভা করে গিয়েছেন। সেই সভা শেষে দলের নেতাদের তিনি নিজেই মাস শেষের দিকে বসিরহাটে সভা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে গতকাল হাবড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর তৃণমূলের জেলার নেতাদের সঙ্গে দলীয় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একাধিক বিষয়ে ‘টাস্ক’ দেওয়ার পাশাপাশি বসিরহাটে সমাবেশ করার ইচ্ছাপ্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সন্দেশখালির বিধায়ককে এলাকায় নজর রাখতে নির্দেশ দেন তিনি। সেখ শাহজাহান ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সন্দেশখালি কার্যত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল বিরোধী দলগুলি সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছে। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় এসে সন্দেশখালি ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে ঘাসফুল শিবির।
তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে ২০ মার্চ বসিরহাটে সভা করতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। তার কিছুদিন পরেই বসিরহাটে সভা করতে পারেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল হাবড়ায় প্রশাসনিক সভা শেষে মঞ্চ থেকে নেমে মঞ্চের পিছনে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানতে চান জেলার হাল-হকিকত। সেই সময় আলাদা করে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতকে বলেন, ‘এলাকায় গিয়ে ভালো করে নজর রাখুন।’ সুকুমার মাহাত পরে নিজেও সাংবাদিকদের জানান যে, ‘মুখ্যমন্ত্রী এলাকায় উন্নয়নের জন্য বেশি করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সেইমতো কাজ করব।’