নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্য গেরুয়া শিবির ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কড়া বার্তা দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই রাজ্য বিধানসভার(State Assembly) আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ফের বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে চায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়(Sovondev Chattopadhay) জানিয়েছেন, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব আনা হবে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee) সেই প্রস্তাব গ্রহণ করলে শাসক পক্ষ বিষয়টি নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করবে অধিবেশনে। সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের কর্মসূচি ঠিক করতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল বিধানসভার কার্যবিবরণী কমিটি। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে শাসকদল যে বিধায়ক সংখ্যার জোরে ‘বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব’(Anti Bengal Divide Proposal)টি সহজেই পাশ করিয়ে নেবে সে বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী মন্ত্রী শোভনদেব।
আরও পড়ুন কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, সারি এবং সারনা ধর্মকে মান্যতা
উল্লেখ্য, এর আগেও বিধানসভায় ‘বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব’ পাশ হয়েছে। ২০১৭ সালে। তখন অবশ্য বিরোধী বেঞ্চে মাত্র ৩জন বিজেপি বিধায়ক ছিলেন। আর বিরোধী দল হিসাবে ছিল কংগ্রেস। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। বুধবার দুপুরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বক্তৃতা দিয়ে শুরু হবে ওই অধিবেশন। পর দিন বৃহস্পতিবার একদিনের জন্য অধিবেশনের কাজকর্ম পুরো বন্ধ রাখা হবে। আবারও অধিবেশন বসবে শুক্রবার। ওই দিন রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতার উপর আলোচনা হবে। তার পরেই ১৩ তারিখ আনা হবে বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রস্তাব। এই বিষয়ে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের সরকার লক্ষ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গকে ভাঙার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেই চক্রান্তের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিভাজনের বিরুদ্ধে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা বিধানসভায় প্রস্তাব আনব। ওই দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ১৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার তৃণমূলের সমস্ত বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন Super Speciality স্তরে উন্নিত হচ্ছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল
তবে এই প্রস্তাব আনা হলে বঙ্গ বিজেপির বিধায়কেরা কী করেন এখন সেটাই দেখার। কেননা বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করলেও দেখা যাচ্ছে থেকে থেকেই বিজেপির কোনও না কোনও সাংসদ বা বিধায়ক বা নেতারা বাংলা ভাগের দাবিতে সরব হচ্ছেন। কেউ বলছেন গোর্খাল্যান্ড চাই, কেউ বলছে জঙ্গলমহল চাই, কেউ বলছে কামতাপুর চাই, তো কেউ বলছে গ্রেটার কোচবিহার চাই। এই সব বিচ্ছিন্নতাবাদকে কড়া বার্তা দিতেই রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
