এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তালা বন্দি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরিত্রাতা রাজ্য পুলিশ

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকে সন্ধ্যা, উঠতে বসতে, নিত্যঘন্টা, নিত্যদিন গালাগাল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে(Police Administration)। তাছাড়াও হুমকি ধমকি তো আছেই। শেষে কিনা সেই পুলিশই হয়ে গেল ত্রাতা। তাঁরাই বঙ্গ বিজেপির মারমুখী বিজেপি(BJP) কর্মীদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে(Union Minister of State)। কার্যত সুপারডুপার ফ্লপ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমন ঘটনাই চোখে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলায়। যে বাংলার নিন্দামন্দ না করলে, যে বাংলাকে হেয় না করলে বিজেপি নেতাদের পেটের ভাত হজম হয় না, সেই বাংলার পুলিশই কার্যত ত্রাতার ভূমিকায় নামলো কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধার করতে। এরপরেও হয়তো সেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকেই আগামি দিনে দেখা যাবে বাংলার পুলিশ প্রশাসনের নিন্দামন্দ করতে, হুমকিধমকি দিতে। 

যাকে ঘিরে এই ঘটনা ঘটেছে তিনি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার(Subhash Sarkar)। এদিন তিনি দলের বাঁকুড়া জেলা সংগঠনের কার্যালয়ে পৌঁছাতেই দলেরই কর্মীদের মারমুখী বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন। তাঁর নামে দলেরই কর্মীরা ‘GO Back’, ‘দূর হটো’, ‘হায় হায়’ শ্লোগান দিতে থাকে। শুধু তাই নয়, তাঁকে ওই কার্যালয়েই একটি ঘরে তালাবন্দী করে রাখেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে সুভাষের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু তাঁরাও বিজেপি কর্মীদের এমন মারমুখী মেজাজ দেখে ঘাবড়ে যান। ঘণ্টাখানেক তালাবন্দি হয়ে থাকার পর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধার করে। বিক্ষোভ দেখানো বিজেপির নেতাকর্মীদের দাবি, সুভাষ তাঁর পেটোয়াদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন। যার ফলে এত দিন ধরে গড়ে তোলা সংগঠন ধরে রাখা যাচ্ছে না। দলে যোগ্যদের সম্মান নেই বলেও অভিযোগ তাঁদের। তাঁরা দলের খারাপ সময় তৃণমূল এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে সংগঠন তৈরি করেছেন। যার সুফল পাওয়া গিয়েছিল গত লোকসভার ভোটে। কিন্তু সুভাষ নিজের লোকেদের দিয়ে সংগঠন দখল করিয়েছেন। বার বার আপত্তি জানিয়েও কাজ হয়নি।

তবে এদিন সব থেকে বেশি চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা এবং পুলিশের ভূমিকা। বঙ্গ বিজেপির নেতারা কথায় কথায় উঠতে বসতে বাংলার পুলিশ প্রশাসনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ তো করেনই, সেই সঙ্গে তাঁদের পরিবারকে নিয়েও চরমতম কটুক্তিও করতে ছাড়েন না। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, বাংলার পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের কথায় ওঠেবসে চলে। তাই বাংলার আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এখানকার পুলিশ কোনও ঘটনারই নিরপেক্ষ তদন্ত করেন না বলে থেকে তাঁরা কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করানোর দাবিও করেন। অথচ মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের বুকে দেখা গেল পুরো উল্টো ছবি। বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে বিজেপিরই মারমুখী কর্মীদের হাত থেকে বাঁচিয়ে আনল সেই মমতারই পুলিশ। অথচ যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা বিনা বাংলার বিজেপির নেতা থেকে সাংসদ, বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি মায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীরাও চলতে ফিরতে, উঠতে বসতে পারেন না, তাঁরাই কিনা এদিন সুপারডুপার ফ্লপ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বন্ধু কাঞ্চনকে সঙ্গে নিয়ে কেশপুরে ভোট প্রচারে দেব

ধারের টাকা ফেরত না দেওয়া নিয়ে বচসা, মা-মেয়েকে পিটিয়ে খুন

৭ দিনের মধ্যে মুখোশ খুলব, টুইটে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

‘মায়ের ঝাণ্ডার কি দাম! যে কড়াইয়ে রান্না করেন, তা মাথায় মারলে বুঝবি’

‘চলুন বদলাই, চলুন পাল্টাই’, মালদায় মমতার মুখে পরিবর্তনের ডাক

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর