এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘পান্নালালের ছেলে নন্দলাল’কে ভোট সন্ত্রাসের জবাব দিলেন মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) শুরু হয়েছে বর্ষাকালীন অধিবেশন(Monsoon Session)। সেখানে বিজেপির(BJP) তরফ থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) হানাহানির ঘটনা নিয়ে মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে তা গ্রহণ করেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবের ওপর এদিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই আলোচনাতেই শুভেন্দু ও বিজেপির তোলা ভোট সন্ত্রাসের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন যারা এই সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন তাঁদের রাজ্যের তরফে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। আর সেই জবাব দেওয়ার সময়েই তিনি নাম না করেই শুভেন্দুকে বিঁধলেন, ‘পান্নালালের ছেলে নন্দলাল’ বলে।

আরও পড়ুন মমতার সরকারে দায়িত্ব বাড়ল ইন্দ্রনীলের, কদর সায়ন্তিকারও

এদিন শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে জানান, ‘বিধানসভা বেশি দিন চালানো উচিত। প্রশ্নোত্তর পর্ব-সহ কলিং অ্যাটেনশনের সময় বাড়ানো উচিত। ১২ বছরে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়ার জন্য এই প্রথম শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। রাজ্য সরকার বলছে পঞ্চায়েত ভোটে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যম বলছে ৫৫ জন মারা গেছেন। ২০ হাজার বুথে ভোট লুঠ হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের সহায়তা করে রাজ্য। ১৯৭৮ সাল থেকে ভোটে এ রকম হয়নি। সবার আগে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। প্রশাসনের বৈঠক হয়। ব্লক স্তরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই ভোটে অংশ নেয় না। এর পর ডিজি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনার। সব কিছুর পর ভোট ঘোষণা হয়। কিন্তু এবার ভোট চুপি চুপি হয়েছে। ত্রিস্তরীয় লুঠ হয়েছে এবার। এর দায় রাজ্য সরকারের। এবার ভোটে যা করেছেন আগামী বছর সুদে আসলে হিসেব দিতে হবে।’

আরও পড়ুন মালার প্রশ্নে সামনে এল দেশে মুসলিমদের সংখ্যা

শুভেন্দুর বক্তব্যের সময়েই বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর বক্তব্য শেষ হতেই তিনি নিজ বক্তব্য রাখা শুরু করেন। সেই সময়েই তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ। তুলে ধরেন ভোট সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ। বলেন, ‘যিনি এর আগে বললেন, তিনি তৃণমূলে ছিলেন, তিনি আগের কথা বললেন না। সিপিএম জমানার কথা একবারও বললেন না। ১৯৯২ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ৫৯ জন মারা যান। ২০০৩ সালে ৭৯ জন মারা যান। ২০০৮ সালে ভোটের দিন ১৯ জন মারা যান। ২০১৩ সালে ১৪ জন মারা যান। ২০১৮ সালে ২২ জন মারা গিয়েছেন। ২০২৩ সালে ভোটের আগে ২৯ জন মারা গিয়েছেন। কেন্দ্র যেমন ভোট করায় না, তেমনই রাজ্য সরকার ভোট করায় না। নন্দীগ্রামে দু’ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে দিয়ে কী হয়েছিল ভুলে গেলেন।’ মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ তুলতেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ শুরু হয় বিধানসভায়। বিক্ষোভের মাঝেই মমতা বলেন, ‘আমারও কথা বলার অধিকার রয়েছে। মামলা হয়েছিল। সেটা পেন্ডিং রয়েছে। আপনারা বলেছেন, সারা ভারতে কোথাও সন্ত্রাস হয়নি। ত্রিপুরায় কী হয়েছে?’ এই সময় বিজেপি বিধায়কেরা কালো কাপড় দেখিয়ে ওয়াক আউট করেন বিধানসভা থেকে। সেই সময় না থেমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২ লাখ মনোনয়ন হয়েছে যা রেকর্ড। ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০০ মনোনয়ন জমা পড়েছে। ৫৪,৬২০টি মনোনয়ন বিজেপির। কংগ্রেস ১৭ হাজার, বামফ্রন্ট ২৭ হাজার ৭৮৭ মনোনয়ন জমা করেছে। ২০১৮ সালে ৬৫ শতাংশ মনোনয়ন হয়েছিল। এবার ৮৭ শতাংশ হয়েছে। ৩৯৮ দল পর্যবেক্ষক ছিল। ৬৯৬টি বুথে পুননির্বাচন হয়েছে। আপনারা বলছেন গন্ডগোল হয়েছে? ভোটের বাক্স জলে ফেলে দিন, কে বলেছিল? ৩৫৫, ৩৫৬ করব, কে বলেছিল? কার্পেট বোম্বিং করবে কে বলেছিল?’

আরও পড়ুন ২ লক্ষ টাকায় সন্তান বিক্রি, কাঠগড়ায় মা

এরপরেই ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বামফ্রন্ট সিস্টেম করে দিয়ে গেছে, পরিবারে পরিবারে লড়াই হয়।  এর জন্য নবজোয়ার হয়েছিল। মানুষকে বোঝান হয়েছে। কোচবিহারের দিনাজপুর, মানিকচক, রেজিনগরে এক জন রয়েছেন আমাদের দলে, গুন্ডা, বদমাইশি করেন। আমরা মান্যতা দিই না। ৮০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। আর সিভিক নিয়ে ৭০ হাজার। ৮০ হাজার পুলিশের নাকের ডগায় এমন ঘটনা ঘটল। কী করে ঘটল? পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭,৮৫৫টি পেয়েছে তৃণমূল, ১,০৭৪টি পেয়েছ বিজেপি। জেলা পরিষদে তৃণমূল ৮৭৯টি, বিজেপি ৩১টি, কংগ্রেস ১৪টি পেয়েছে। ভোট লুঠ হলে পেল কোথা থেকে? পাহাড় থেকে জঙ্গল শান্তি ছিল। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় গোলমাল হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরে ঘর পুড়িয়েছে কারা? নন্দীগ্রামে এক জন মহিলাকে বিজেপি ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল। সাতটি ঘটনা ঘটেছে আর তুমি ২২-২৩টি জেলাকে বদনাম করছ? পান্নালালের ছেলে নন্দলাল। নিজের জেলায় হারল কী ভাবে? নন্দীগ্রামে ১০,০০০ ভোটে হার। নাম নিচ্ছি না। নাম নিতে লজ্জা হয়। তমলুক, খেজুরিতে আজ লোক ঢুকতে পারছেন না। আমরা এতটা মানবিক, যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের টাকা ও হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছি। রেল দুর্ঘটনায় যারা মারে গিয়েছেন, তাঁদের ৫ লাখ টাকা দিয়েছি। আমি ইচ্ছে হলে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

বাগুইআটিতে নিহত তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে ১১ টি অপরাধের মামলা রয়েছে দাবি পুলিশের

CAA নিয়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির ‘ভাঁওতাবাজি’ তুলে ধরছেন মতুয়া প্রার্থী

‘সবাই যদি অনুপ্রবেশকারী হয় তাহলে আপনিও অনুপ্রবেশকারী প্রধানমন্ত্রী’, খোঁচা মমতার

CAA ইস্যুতে মমতার হাত শক্ত করার ডাক দিলেন নমঃশূদ্র বোর্ডের চেয়ারম্যান

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর