নিজস্ব প্রতিনিধি: সকালে ছাত্রীর আত্মহত্যার (Suicide) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়। বিকেলে সেই ছাত্রীর বন্ধুর রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। দুটি ঘটনায় দুই এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া। বীরভূম ও হুগলির ঘটনা। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ (Police)।
বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে হুগলি জেলার কামারপুকুর এবং বীরভূমের শান্তিনিকেতনে। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে আত্মহত্যা করেন সোনালী নায়েক। তিনি হুগলির কামারপুকুর এলাকার বাসিন্দা। আর তারপরেই রহস্যমৃত্যু হয় সুমন দের। অনুমান, বিকেলে সুমন আত্মহত্যা করেছে। ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের দেহ উদ্ধার করা হয়। সুমনেরদেহ উদ্ধার হয় বুধবার রাতে। দুটি ঘটনায় দুই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য এবং শোকের ছায়া। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বান্ধবীর আত্মহত্যার ঘটনার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন যুবক। তারপরেই নিজেকে শেষ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যুবক। দুটি ঘটনাতেই মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতদের দেহ ময়নাতন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতদের পরিবারকে।
জানা গিয়েছে, এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন সুমন। তিনি কৃষি বিভাগে পড়তেন। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার তাজপুরে। রথীন্দ্রপল্লীতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন সুমন। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ মৃতের দেহ উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এখানেই হবে ময়নাতদন্ত (Postmortem) । জানা গিয়েছে, মৃতের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট।