নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ফের ভাঙড়ে সৌজন্যের রাজনীতি। বিজেপির দাবি সেটিং তত্ত্বকে একেবারে জল ঢেলে, বিরোধী ঐক্যে শান দিতে মরিয়া শাসকদল । ভাঙড়ের পঞ্চায়েত এখন ঘাসফুলের(TMC) দখলে। সামনেই ১৬ অগাষ্ট পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল। তার আগে ১৩ অগাষ্ট রয়েছে তাঁদের গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন। বিজয় উৎসবে মাততে চলেছে শাসকদল। বাংলায় আনতে চলেছে উন্নয়নের জোয়ার। এই বিজয় উৎসবে নওশাদ সিদ্দিকীকে আমন্ত্রণ জানালেন ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক ও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা(Sauqat Molla)।
অর্থাৎ আরও একবার সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা গেল রাজ্যের শাসকদলকে। ভাঙড়ের অশান্ত পরিবেশকে বাগে আনতে চাইছে শাসকদল। এর আগে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে নানা জলঘোলা হয়েছিল। জারি ছিল ১৪৪ ধারা। এবার সব বিতর্কে জল ঢেলে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে তৃণমূল- আইএসএফ-এর দিকে।
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিধানসভায় একফ্রেমে ধরা দিয়েছিলেন নওশাদ-শওকত। দাদার কাছে রাজনীতির শিক্ষা নেওয়ার কথা উঠে এসেছিল তাঁর মুখে। তারপর, ২১ জুলাইয়ের আগে শো স্টপার হিসাবে দেখা গিয়েছিল আইএসএফ বিধায়ককে।বছর শেষ হলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সকল অবিজেপি দলগুলিকে একত্রিত করে, সলতে পাকাতে শুরু করেছে তৃণমূল। বাংলা থেকেই শুরু হয়েছে সেই দৃষ্টান্তমূলক প্রচেষ্টা। সৌজন্যের রাজনীতিতে ভর করে বিজেপিকে(BJP) কিস্তিতে বাজিমাত করতে চাইছে তাঁরা।
১৩ অগাষ্টে নওশাদ সিদ্দিকীর(Naushad Sidiqi) উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর গুঞ্জন। এদিকে এই আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে বিধানসভায় নওশাদ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন ,তিনি এতে সাড়া দিচ্ছেন না।
