নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি দালাল বাজারি সংবাদমাধ্যমের ইন্ধনে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভের নামে তৃণমূল নেতাদের নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের উপরে চলছে শারীরিক হামলা। আর বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি ও সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এমনকি বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এলাকায় তাণ্ডব চালালেও পুলিশ চোখ বুজে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলেও মুখ খুলতে রাজি হননি তারা। সিপিএম এবং বিজেপি নেতারা অবশ্য বহিরাগতদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সন্দেশখালিতে ‘মনগড়া’ অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে এলাকায় বিজেপি ও সিপিএমের কট্টর সমর্থক হিসাবে পরিচিতরা। ওই বিক্ষোভে অচেনা-প্রচুর বহিরাগতকেও দেখা গিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। প্রথম দিন ওই বহিরাগতরা মুখ খুলে বিক্ষোভ দেখালেও পরিচয় ফাঁসের আশঙ্কায় দ্বিতীয় দিন থেকে মুখ ঢাকা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, বিজেপি ও সিপিএম সমর্থক স্থানীয় মহিলাদেরও মুখ আড়াল করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই পরামর্শ মেনেই পরের দিন থেকে সন্দেশখালি বাজারে বিক্ষোভের সময়ে মুখে ঢেকেছিলেন বিক্ষোভকারী মহিলারা।
সূত্রের খবর, প্রতিদিন রাতে বিশেষ নির্দেশ এসে পৌঁছচ্ছে স্বঘোষিত বিক্ষোভকারীদের কাছে। সেই পরিকল্পনামতোই বিজেপি দালাল সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে নিত্য-নতুন অভিযোগ তুলে শাসকদল তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজ করছেন এলাকায় বিজেপি ও সিপিএমের ক্যাডার হিসাবে পরিচিত মহিলারা। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতাদের উপরে হামলার সময়েও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির উপরে হামলার সময়েও একই ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সিংহভাগ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিজেপি ও সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া বহিরাগত গুন্ডারা বেছে-বেছে নিরীহ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। এমনকি তৃণমূল নেতাদের পরিবারের মহিলারাও হামলার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। বহিরাগত গুন্ডারাই সন্দেশখালির অশান্তি জিইয়ে রাখছেন।