নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে চালু হয়ে গেল ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচী। প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেনীর পড়ুয়াদের নিয়ে এদিন থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচী। কোভিডের কারনে গত দুই বছর ধরে বন্ধ ছিল রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখন সেই কোভিডের প্রকোপ কমতেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পথে হাঁটা দিয়েছে রাজ্য সরকার। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের জন্যও। তবে সতর্কতার কথা মাথায় রেখেই প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেনীর পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা এখনও বন্ধই রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের পড়াশোনা যাতে আর ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তার জন্যই রাজ্য সরকার এদিন থেকে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ চালুর কর্মসূচী চালু করেছে। তবে গতকাল লতা মঙ্গেশকর প্রয়াত হওয়ায় রাজ্য সরকার এদিন অর্ধদিবস ছুটির কথা ঘোষণা করেছে। সেই কারনে এদিন ‘পাড়ার শিক্ষালয়’ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হলেও তা বেলা সাড়ে ১২টা, কোথাও বা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হবে বলে অধিকাংশ স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন রাজ্যজুড়ে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে কোথাও ক্লাস হচ্ছে স্কুলের ছাদে আবার কোথাও বা স্কুল লাগোয়া মাঠে। কোথাও কোথাও স্কুল চত্বরের মধ্যেই চলছে ক্লাস। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে কোভিডবিধি। মুখে মাস্ক, শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে বসা, ঘন ঘন স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া এই ৩টি জিনিস মেনে চলা হচ্ছে প্রায় সব ক্ষেত্রেই। তবে প্রশ্নও উঠছে, স্কুল চত্বরের মধ্যে বা স্কুলের ছাদে কিংবা স্কুলের পাশে থাকা মাঠে যদি ‘পাড়ার শিক্ষালয়’ অনুষ্ঠিত হতে পারে তাহলে স্কুলের অন্দরে ক্লাসরুমের মধ্যে স্কুল চালু হতে অসুবিধা কোথায়! যদিও স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, অল্প বয়সী পড়ুয়াদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম। বদ্ধ জায়গায় থাকলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই যতটা সম্ভব খোলামেলা পরিবেশে ক্লাস হলে সেই বিপদের সম্ভাবনাও অনেকখানি কমে যাবে। ঘটনাচক্রে এদিন থেকেই অষ্টম শ্রেনী থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুলে ফের রান্না করা মিড ডে মিল চালু করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সব থেকে বেশি লাভবান হবেন সেই সব পড়ুয়ারা যারা বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার খেয়ে আসতে পারছে না। এবার থেকে তারাও কিন্তু স্কুলে পেট ভরা খাবার পাবে।